সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ব্রিকস-বিমসটেক সম্মেলন

বাংলাদেশের তিন প্রস্তাব

ঋতুপর্ণা রায়, গোয়া (ভারত) থেকে

দুই অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা জোট ব্রিকস ও বিমসটেকের মধ্যে সহযোগিতা স্থাপনে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হচ্ছে— বিমসটেকভুক্ত দেশে মানসম্পন্ন ও টেকসই অবকাঠামো তৈরি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি  ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেওয়া এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দুই জোটের মধ্যে সংলাপ আয়োজন। গতকাল ভারতের গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব প্রস্তাব দেন। ২০০১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে গঠিত হয় ‘ব্রিক’। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে এ জোট ব্রিকস নাম ধারণ করে। ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ নামের একটি ব্যাংকও গঠন করেছে জোটটি। ব্রিকসের আগে ১৯৯৭ সালের জুনে গঠিত হয় চার দেশের অর্থনৈতিক জোট, যার নাম ছিল বিসটেক—বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড অর্থনৈতিক সহযোগিতা। পরে ওই বছরই মিয়ানমার যোগ দিলে জোটের নতুন নামকরণ হয় বিমসটেক। ২০০৪ সালে নেপাল ও ভুটান এর পূর্ণ সদস্য হয়। এ দুই জোটের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের উপায় খুঁজতেই গোয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আউটরিচ সম্মেলন। সম্মেলনে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিমসটেক দেশগুলোর এক বড় অংশে মানসম্পন্ন ও টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য ব্রিকস দেশগুলোতে কার্যক্রম চালানো ব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘স্বল্প আয়ের দেশগুলোর দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে আমি ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বিমসটেক অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবনের জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার’ সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি বিশ্বাস করি।’ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্রিকস নেতাদের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস-বিমসটেক লিডারস আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল সকালে ভারত পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে গোয়ার নেভাল বেইজ এয়ারপোর্টে পৌঁছায়। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর, গোয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আলিনা সালদানহা, গোয়া সরকারের সচিব (কোপারেশন) পদ্মা জেসওয়াল, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, মুম্বাইয়ে ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা নাজ এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে একটি মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে হোটেল দ্য লিলা গোয়ায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় ভারতের গোয়ার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। আউটরিচ সম্মেলনে বৈশ্বিক অর্থনীতির ব্যাপক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দুই জোটের সদস্যদের মধ্যে সংলাপের ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। বিশ্ববাজারে নিজেদের পণ্যের মান এবং বাজার যাতে তাল মেলাতে পারে, সেজন্যই এটি জরুরি বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পণ্য ও সেবার মান উন্নয়নে আমরা দুই জোট একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’ বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপরই উন্নয়ন নির্ভর করে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেও দুই জোটের একসঙ্গে কাজ করা উচিত মন্তব্য করে আউটরিচ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ব্রিকস-বিমসটেক সহযোগিতার ‘নতুন সংলাপ’ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

আউটরিচপূর্ব রিট্রিট : এদিকে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিএ) গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিটের আগে গতকাল বিকালে বিমসটেক নেতাদের রিট্রিটে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের আলোচনা শুরুর পর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার বিষয়টি এ অঞ্চলের নেতাদের আন্তরিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য?্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এফটিএ বাস্তবায়নের পক্ষে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করতে হবে। এটি আমাদের আন্ত-আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং বিমসটেকের কার্যক্রম ও কর্মসূচিগুলো জোরদার করবে।’ আগামী বছর বিসমটেকের ২০তম বর্ষপূর্তির সময় এফটিএ-সংক্রান্ত চারটি চুক্তি গ্রহণের জন্য লক্ষ্য স্থির করার আহ্বান জানান তিনি। গোয়ার লিলা হোটেলে এই রিট্রিটের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিসমটেকভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে একে একে সবার সঙ্গে তিনি করমর্দন করেন এবং ছবি তোলেন। এরপর সবাই মিলে গ্রুপ ফটোসেশন হয়। বিমসটেক রিট্রিটের আগে এই জোটের নেতাদের সম্মানে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকারের দেওয়া মধ?্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন বিমসটেক নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস-সচিব ইহসানুল করিম জানান, বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর নেতারা মধ্যাহ্ন ভোজের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিমসটেকের যাত্রার পর গত প্রায় ২০ বছরে দুটি অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজে অগ্রগতি খুব ধীরে হলেও এ সংযোগের ভিত্তি দেওয়ার কাজ এখন শেষ হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে।’ বিমসেটক অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ‘আঞ্চলিক প্রকল্প’ তৈরির প্রস্তাব দিয়ে এ জোটের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এতে বিমসটেক জনগণের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হবে। সংগঠন আরও স্থিতিশীল ও দৃশ্যমান হবে।’ বিমসটেককে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে নেতাদের প্রত্যাশার পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। আগামী পাঁচ বছরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, আঞ্চলিক সংযোগ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের মতো প্রধান ক্ষেত্রগুলোতে নজর দিতে বিমসটেক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রগুলোতে নিয়মিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হলে তাতে কাজে গতি আসবে। সড়কপথে যোগাযোগ বাড়াতে বিমসটেক ওয়ার্কিং গ্রুপ ইতিমধে?্য আলোচনা শুরু করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংযোগ বাড়াতে আমরা এখন উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি করার কথা বিবেচনা করতে পারি। এখন আমরা চাই, উন্নততর উপ-আঞ্চলিক গ্রিড সংযোগ এবং জ্বালানি বাণিজ্যের বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি ও এর বাস্তবায়ন দ্রুততর হবে।’ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পরাজিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবিলায় বিমসটেকের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে আমরা সক্ষম হব।’ থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন—বিমসটেক গঠিত হয়। পরে ২০০৪ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ নিজেদের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে একমত হয়। তবে এ ধরনের অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় সে উদ্যোগ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন হয় ২০১৪ সালে মিয়ানমারের রাজধানী নে পি দোতে। ওই সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের ১৪টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করে। এ ছাড়া প্রায় দুই বছর আগে বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকার গুলশানে বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় যাত্রা করে। শনিবার গোয়ায় শুরু হওয়া অষ্টম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেন এ জোটের সদস?্য দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল টেমের, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বিসমটেকভুক্ত দেশগুলোর মধে?্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি আউটরিচ সামিটে অংশ নিচ্ছেন।

ব্রিকস সম্মেলন : এদিকে ভারতের উপকূলীয় শহর গোয়ায় দুই দিনব্যাপী অষ্টম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। এতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা অংশ নেন। সকালে শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস নেতাদের জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান। মোদি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম আফ্রিকা, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়া এখন জঙ্গিবাদের হুমকির সম্মুখীন। জঙ্গিবাদের সহিংসতা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। আমাদের এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন জঙ্গিবাদের কারণে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।’ পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ভারতের একটি প্রতিবেশী দেশেই জন্ম নিচ্ছে জঙ্গিবাদ। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের সংযোগ রয়েছে। এ হুমকির বিরুদ্ধে ব্রিকসকে এক সুরে কথা বলতে হবে।’

ভিসা ছাড়াই রাশিয়া : বাংলাদেশ-রুশ সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে। রাশিয়া ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসাব্যবস্থা বাতিল করতে যাচ্ছে মস্কো। শুধু পাসপোর্ট থাকলেই রাশিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। তবে প্রাথমিকভাবে এ সুবিধা শুধু কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা পাবেন। তবে পরবর্তী সময়ে এ সুযোগ সবার জন্য চালু করা হতে পারে। কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশিরা শুধু পাসপোর্ট হাতে নিয়েই ঢাকা থেকে মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবুর্গে নামতে পারবেন। সেখান থেকে রুশ নাগরিকরাও ঢাকা সফর করতে পারবেন ভিসা ছাড়াই। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ২২ সেপ্টেম্বর নতুন ওই ভিসাচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর