সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ইয়ং কিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ইয়ং কিম

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য দেখতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন গতকাল। আজ সকালে তিনি সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন জিম ইয়ং কিম ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এদিকে গতকাল বিকাল ৫টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে অভ্যর্থনা জানান অর্থমন্ত্রী। এ সময় বিমানবন্দরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন, বিশ্বব?্যাংক সদর দফতরে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় বিশ্বব?্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফানসহ সংস্থার কর্মকর্তারাও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বব্যাংক প্রধানের এই সফরের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ চুক্তি বাতিলের তিক্তরা দূর হবে। তার এই সফরে ‘বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’ বাংলাদেশে পালনের পাশাপাশি ঢাকায় একটি বক্তৃতাও দেবেন কিম। কিমের সফরসূচি থেকে জানা গেছে, আজ বিকালে ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বে বাংলাদেশ’ শীর্ষক পাবলিক লেকচারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশ্বব্যাংকের (সদর দফতর) প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার। বিশ্বব্যাংক সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানিটি ডিক্সনও বক্তৃতা করবেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এ অনুষ্ঠানে ‘অ্যান্ড পোভার্টি’ শীর্ষক গান পরিবেশন করবেন। এ পর্ব শেষে অনুষ্ঠানে প্রসপার বাংলাদেশ শিরোনামে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়া হবে। সেখানে ‘অ্যান্ড গ্লোবাল পোভার্টি বাই ২০৩০ : শেয়ারিং বাংলাদেশ’স এক্সপেরিয়েন্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায়ও বক্তৃতা করবেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। এরপর মঙ্গলবার সকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বরিশাল যাবেন কিম। সেখান থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন কিম। বিকালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। জানা গেছে, গত এক দশকে বিশ্বব্যাংকের কোনো প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে আসেননি। তবে গত বছর সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এসেছিলেন। ফলে কিমের এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। কেননা বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, সেটা সরেজমিনে দেখতেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এদিকে অর্থবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে কিম এবং অর্থমন্ত্রীর মধ্যে। তবে বৃহৎ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মেট্রোরেল, দ্বিতীয় পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের বিষয়েও তার সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক কোন কোন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সেটাও জানাবেন কিম। এমন কি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে কী করতে হবে সে ধরনের একটি নির্দেশনাও দেবেন বিশ্বব্যাংক প্রধান।

সর্বশেষ খবর