মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্যানেল আলোচনায় বক্তারা

দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক নীতিগুলোয় নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি শিশুর মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শেষে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বক্তারা। গতকাল বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনা পর্বে আলোচকরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় সংসদে নারীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন খাতে নারীরা কাজ করছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অনেক নারী উদ্যোক্তা পেয়েছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক নীতিগুলোয় নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেসরকারি খাতনির্ভর। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বেসরকারি খাতের অবদান ৮২ শতাংশ। সরকার যেসব নীতি গ্রহণ করে তা মূলত বেসরকারি খাতের উন্নয়নকেন্দ্রিক। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শেষে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার বলেছেন, পল্লী এলাকা বা গ্রামের মানুষকে ভালো রাখতে হলে সেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে, অবকাঠামোগত সুবিধা ও সেবা পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাইলে প্রতিটি শিশুর মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে হবে। মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রুবানা হক বলেছেন, বেসরকারি খাতের বিকাশে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা দূর করতে সরকারের নীতিসহায়তা দরকার। অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর বলেছেন, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের সরকার, সুশীলসমাজ, এনজিও মিলিত হয়ে সামাজিক খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। এতে বাংলাদেশের দক্ষতাও বেড়েছে। বিশেষ করে দুর্যোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর