রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মুগ্ধ বিদেশি অতিথিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের চিরন্তন সঙ্গী। ইতিহাস বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ কখনো থেমে থাকেনি। আওয়ামী লীগ ক্রমেই সমৃদ্ধ করে তুলেছে স্বদেশকে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল আওয়ামী  লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে ৫৫ জন রাজনৈতিক প্রতিনিধি অংশ নেন। বিদেশি অতিথিরা তাদের বক্তব্যে সম্মেলন নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সফলভাবে বাংলাদেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

সম্মেলনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বিনয় প্রভাকর সহস্রাবুদ্ধে বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বৃহত্তম পুরান রাজনৈতিক দল এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রেয়ার লিডার’। তিনি সত্যিকারের জননেত্রী। তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো উপমহাদেশের নেত্রী।

বঙ্গবন্ধু মানবতা ও স্বাধীনতার সুমহান নেতা ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বাণী দিয়েছেন উল্লেখ করে বিনয় প্রভাকর বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এসব নদীর পানি নিয়ে সমস্যাও অচিরেই দূর হয়ে যাবে।

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস পার্টি ও রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতীয় কংগ্রেসের সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলেছিলেন।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্কসবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে এবং সাফল্য পেয়েছে সে জন্য আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুর্নিশ জানাই।

রাশিয়ান ফেডারেশনের ইউনাইটেড রাশিয়ার উপ-সাধারণ সম্পাদক সের্গেই জেলেনিয়াক বলেন, বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে রাশিয়া বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ইউনাইটেড রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসমুক্ত স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে দুদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এ ছাড়াও সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার জেং জিয়াজং, কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির দীপক অবহারী এমপি, নেপাল কংগ্রেসের সিনিয়র লিডার ড. রাম শর্মা মাহাত, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির ড. রাজন ভট্টরাই, শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা এবং ধর্মমন্ত্রী এ এইচ মোহাম্মদ হাশিম এমপি, অস্ট্রিয়ার সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও যুক্তরাষ্ট্র পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সাবেক মহাসচিব মিসেস ফচ এমপি, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ড. দর্জি ওয়ানজি এমপি, ইতালির ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ চৌয়াকী এমপি, যুক্তরাজ্যের জেনি রাথবোন, ভারতের মিজোরাম রাজ্যের মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এমএনএফ) জারোমথঙ্গা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কর দেব বক্তব্য রাখেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর