বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কাউন্সিলে কিছুই দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাউন্সিলে কিছুই দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতি তাকিয়ে ছিল আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের দিকে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এমন আশা করছিল সবাই। কিন্তু কাউন্সিল থেকে জাতিকে কিছুই দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। এতে জাতি হতাশ হয়েছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। জিয়া সাইবার ফোর্স ‘সুন্দরবন বাঁচাও, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠেকাও’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের অদূরে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষতিকর নানা দিক নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিএনপি নেতা শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ওয়াহিদ-উন-নবী ও ডা. দেওয়ান  মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু সুন্দরবন নয় সারা দেশের ক্ষতি করবে। ভারতে চারদফায় চেষ্টা করেও এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারেনি তারা। কিন্তু এ দেশের সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বদ্ধপরিকর। কারণ জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত নয়। জনগণের দাবি উপেক্ষিত তাদের কাছে। রামপাল ইস্যুতে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদসহ যারা আন্দোলন করছের তাদের আন্দোলনে আমাদের সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য সুন্দরবন প্রয়োজন। একে ধ্বংস করে পাওয়ার প্লান্ট তৈরির কারণ কেউ খুঁজে পায় না। পাওয়ার প্লান্ট অনেক পাওয়া যাবে কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস হলে তা আর পাওয়া যাবে না। সংসদে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা নেই। কারণ সেখানে রয়েছে গৃহপালিত বিরোধী দল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সব অর্জন একের পর এক ধ্বংস করে দিচ্ছে সরকার। সব প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। তাদের হাতে গণতন্ত্র আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচন আজ প্রহসনে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কিছুই আজ নিরাপদ নয়। এ সরকার জনগণের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করে না। এ সরকার দুই বছরে বিএনপির ৫শ’র বেশি নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। সরকার জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। তাই তারা বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। নিজেদের অধিকারের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র বিকাশে সব ধরনের চক্রান্ত বিনাশ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর