র্যাব ও পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ইতালীয় নাগরিক তাভেলা হত্যাকাণ্ডের ‘ষড়যন্ত্র ফাঁস’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘দুই সংস্থার পরস্পরবিরোধী বক্তব্য— ওই মামলায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর প্রমাণ।’ গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরাম’ আয়োজিত ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর : আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন প্রমুখ। রিজভী আহমেদ বলেন, র্যাবের ডিজি বলছেন, ‘তাভেলা হত্যার সঙ্গে নিউ জেএমবির নেতারা জড়িত। আর তারপরই সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক বলছেন, না আমরা তদন্ত করে দেখেছি, এর সঙ্গে কাইয়ুম সাহেব ও তার ভাইরা জড়িত। বাহ! আজকে এরাই তাদের বিতর্ক তৈরি করেছে। এই যে প্রকাশ হয়ে পড়ল, ফাঁস হয়ে গেল, এটা একটা ষড়যন্ত্র। তাভেলা হত্যাকাণ্ডে বিএনপি নেতা কাইয়ুম-মতিনকে জড়িত করা— এটা হচ্ছে একটা ষড়যন্ত্র। আজকে তাদের বিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেল।’ রিজভী বলেন, ‘এটা এখন সুস্পষ্ট যে, তাভেলা হত্যা মামলার চার্জশিট টাইপ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অথবা সুধাসদন ভবনে, অন্য কোথাও নয়। অর্থা ৎ সরকার যা বলেছে, সেভাবেই চার্জশিট সাজানো হয়েছে। তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে এ কাজটি তৈরি করা হয়েছে শুধু বিএনপি নেতাদের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র হত্যা করা, মানুষের নাগরিক অধিকারকে হত্যা করা— এটার জন্য দৃষ্টিটাকে অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখতে এ জঙ্গি সৃষ্টি করছে। মানুষ ওই দিকে তাকিয়ে থাকবে, সরকারের অপকর্মের দিকে চাইবে না। এটা করে দিয়ে বিএনপির নাম ঢুকাও, তাদের জড়িত করো।’ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।