রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নারীদের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

প্রতিদিন ডেস্ক

নারীদের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে নারীদের সমর্থন হারাতে শুরু করেছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ট্রাম্পের জনসমর্থনের ব্যবধান আরও বেড়েছে।

 হিলারির চেয়ে তিনি নতুন করে ৬ পয়েন্ট পিছিয়েছেন। সূত্র : ইন্টারনেট। ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে করা এই মতামত জরিপে দেখা গেছে, জনগণের ৪২ শতাংশ এরই মধ্যে হিলারির পক্ষে। আসছে ৮ নভেম্বর তাকে ভোট দেওয়ার প্রত্যাশা করছেন তারা। অন্যদিকে ৩৬ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। এর আগের সপ্তাহে ট্রাম্পের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। জরিপ বলছে, নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ট্রাম্প জরিপে ধারাবাহিকভাবে হিলারিকে অনুসরণ করে এসেছেন। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ট্রাম্পের জনসমর্থন অনবরত ৪০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে। সর্বশেষ জরিপে দেখা যায়, সম্ভাব্য নারী ভোটারদের মধ্যে জনসমর্থনে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। আগের সপ্তাহে এ ক্ষেত্রে দুই প্রার্থীর মধ্যে ৪ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। গত দুই মাসজুড়েই নারী ভোটারদের মধ্যে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। তবে ব্যবধান ১ পয়েন্ট থেকে ১১ পয়েন্ট পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসে প্রকাশিত ২০০৫ সালের এক ভিডিওতে ট্রাম্পকে নারীদের জড়িয়ে ধরা ও চুমু খাওয়া নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে শোনা যায়। এর পর থেকে অন্তত ডজনখানেক নারী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। ট্রাম্প সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও শ্বেতকায় নারীদের মধ্যে সমর্থনে এখনো এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে আগের সপ্তাহে হিলারির চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও গেল সপ্তাহে ট্রাম্পের সমর্থন কমেছে। এতে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান মাত্র ২ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে।

ইমেইল বিতর্ক : নতুন করে পাওয়া কিছু ইমেইল নিয়ে শুক্রবার ফের তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছিলেন। এ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক ইস্যুতে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কাছে দ্রুত পুরোপুরি সমাধান দাবি করেছেন তিনি। হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ইস্যুটি এমন সময় আবার আলোচনায় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মাত্র ১০ দিন বাকি। এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি শুক্রবার হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল ফের নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিলে হিলারি এই দাবি জানান। এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘ভোট চলে আসছে। সুতরাং আমেরিকার জনগণ এ বিষয়ে খুব দ্রুত পরিপূর্ণ আসল বিষয় জানতে চায়। আজ্ঞাবহ এফবিআইর ব্যাখ্যা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যা হোক, এ বিষয়ে আর যেন বিলম্ব না হয়।’

এফবিআইর অভিযোগ অনুযায়ী, ফেডারেলের আইন ভঙ্গ করে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করে ২০০৯-১৩ মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি ক্লিনটন বেশকিছু গোপন তথ্য আদান-প্রদান করেছেন; যা অপরাধমূলক কাজ।

সর্বশেষ খবর