সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

খোকার বাড়ি বুঝে নিয়েছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার গুলশানের ছয়তলা বাড়িটি বুঝে নিয়েছে সরকার। রাজধানী ঢাকার এই বাড়িটির সব ভাড়াটিয়া অন্যত্র চলে যাওয়ার পর গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরকারের পক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেন। এর আগে বাড়িটির ভাড়াটিয়ারা সরে যেতে এক মাসের সময় চেয়েছিলেন আদালতের কাছে। বাড়িটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিল একটি বায়িং হাউস। তাদের বিদেশি অতিথিদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতো এ বাড়িটি। তবে বাড়ি ভাড়ার ‘সিকিউরিটি মানি’ হিসেবে দেওয়া প্রায় ৫০ লাখ টাকা এখনো ভাড়াটিয়া ফেরত পাননি বলে জানান তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ। তিনি বলেন, বাড়িটির ভাড়াটিয়ারা বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের আদেশে সরকার সাদেক হোসেন খোকার এ বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার পর ভাড়াটিয়ারা বাড়িটি ছাড়ার জন্য এক মাস সময় নিয়েছিলেন আদালতের কাছ থেকে। গতকাল সেই এক মাস পূর্তি হওয়ায় ভাড়াটিয়া বাড়িটি সরকারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন। জানা যায়, আদালতের পরোয়ানা নির্দেশ তামিল করে ২২ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৭২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের ৫ কাঠা জমি এবং এর ওপর নির্মিত ছয়তলা এই ভবনটি বাজেয়াপ্ত করে নোটিস ঝুলিয়েছিলেন ঢাকার জেলা প্রশাসক। তবে বাড়িটির দাম ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিল আদালত। প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ অক্টোবর তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাদেক হোসেন খোকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তিনি অবৈধভাবে ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে ঘোষণা করে ওই সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও সাত মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় গুলশানের বাড়িটি ছাড়াও গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে সাদেক হোসেন খোকার নামে থাকা মোট ১০০ দশমিক ১৯৪৬ একর জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

সর্বশেষ খবর