বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সর্বনাশা ইয়াবা নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে

সাঈদুর রহমান রিমন

সর্বনাশা ইয়াবা নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে

মিয়ানমার ঘেঁষা কক্সবাজার-বান্দরবান সীমান্ত দিয়েই শুধু নয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেরও অন্তত ৪২টি পয়েন্ট গলিয়ে ঢুকছে ইয়াবা। দেশে গড়ে উঠেছে ইয়াবা বাণিজ্যের সংগঠিত নেটওয়ার্ক। নিরাপদ-নির্বিঘ্ন এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর আসক্তি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন তা মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে। অলি-গলি, মোড়ে মোড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা। পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি, আবগারীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব সংস্থার সদস্যরা রাত-দিন ইয়াবাবিরোধী অভিযানে থাকেন। প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার পিস ইয়াবা জব্দ হয়, আটক হয় ইয়াবা পাচারকারী, বিক্রেতাসহ সেবনকারীও।

 কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবার স্রোত। শুধু বাংলাদেশে পাচারের জন্যই মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ৩৮টি ইয়াবা কারখানা। এসব কারখানা থেকে প্রতিদিন ৩০ লাখেরও বেশি ইয়াবা টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম সীমান্তের ২৩টি স্থান দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় অধিবাসীদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের মংডু থেকে বিভিন্ন ধরনের ফিশিং বোটের মাধ্যমে টেকনাফের স্থলবন্দর, শাহপরীর দ্বীপ, মাঝিরপাড়া, জালিয়াপাড়া, ট্রানজিট ঘাট, নাইট্যংপাড়া, সাবরাংয়ের লেজিপাড়া ও বার্মাপাড়া পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিনই লাখ লাখ পিস ইয়াবা আসছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বিভিন্ন সংস্থার একশ্রেণির কর্মকর্তার সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সখ্য ও গোপন লেনদেন থাকায় ইয়াবা প্রবেশ রোধ হচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে জানায়, টেকনাফের সাগরদ্বীপ, নয়াপাড়া, নাজির পাড়া, জেলেপাড়ায় প্রতি রাতে বসে ইয়াবার হাট। সেখানে মিয়ানমার থেকে আসা লাখ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের পাইকারি বেচাকেনা চলে। ইয়াবা আমদানি ও তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই কক্সবাজার এলাকার একজন এমপিকে ঘিরে যাবতীয় তদন্ত কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু ওই এমপির চেয়েও বেশি প্রভাব খাটানো প্রায় দুই ডজন রাঘববোয়াল এখন ইয়াবা আমদানি ও সরবরাহ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তকারী সংস্থাগুলো ইয়াবার নব্য গডফাদারদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। তারা কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবান, টেকনাফের স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগসাজশে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশি অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী এখন স্থায়ী ডেরা তুলে অবস্থান করছেন মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে। সাগর ও নদীপথে আসা ইয়াবার একটি অংশ পাচার হয় টেকনাফ, হ্নিলা ও উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে। কড়া নজরদারির কারণে এখন সিংহভাগ চালান পাচার হয় সমুদ্র পথেই। চোরাচালানিরা দেশীয় ইঞ্জিনবোটযোগে লাখ লাখ পিস ইয়াবা নিয়ে গভীর সমুদ্র পথ ধরে সরাসরি হাতিয়া-সন্দ্বীপ, চরজব্বার এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। সেখানে খালাস করা ইয়াবা স্থানীয় লঞ্চ-ট্রলারযোগে চাঁদপুর, শরীয়তপুর হয়ে ঢাকার পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু চালান নৌপথে কুয়াকাটা এবং ভোলা দিয়েও প্রবেশ করছে। বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে দক্ষিণের সীতাপাহাড়ে মিয়ানমারের ট্রলারের মাধ্যমে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। সাগরপথে মাছ ধরার বড় ট্রলারে করে এসব চালান সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে নারায়ণগঞ্জে আসে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে রয়েছে তালিকাভুক্ত ৭০০ ইয়াবা পাচারকারী। তার মধ্যে মহেশখালীর ৭, বান্দরবানের ১৫ জন ছাড়া বাকি পাচারকারী সবাই টেকনাফের বাসিন্দা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পাচারের নিত্যনতুন কৌশল : মহানগর পুলিশের বিশেষ অভিযান ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঘোষিত অবিরাম অভিযান সত্ত্বেও মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য থামছে না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে একের পর এক কৌশল পাল্টাচ্ছে তারা। এসব নিত্যনতুন কৌশলে পাচার হয়ে আসা মাদকদ্রব্য ধরতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। ইদানীং প্রয়োগ হচ্ছে বাকপ্রতিবন্ধী (বোবাদের) মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের কৌশল। বোবারা ধরা পড়লেও তারা মাদক ব্যবসায়ীর নাম-পরিচয় কিছুই জানাতে পারে না। তাছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্টিকার লাগানো গাড়ি, সেনা কর্মকর্তার গাড়ি এবং পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেও পাচার করছে ব্যবসায়ীরা। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, ইয়াবা পাচারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলীয় লোকজন এবং রাজনীতির বাইরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চক্রও জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। বিশেষ করে পুলিশের একটি গোষ্ঠী সরাসরি পাচারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে প্রায়ই অভিযোগ উঠছে। ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে অভিযুক্ত কক্সবাজারের এমপি আবদুর রহমান বদি সম্প্রতি মাদকবিরোধী এক সমাবেশে বলেন, পুলিশই ইয়াবা পাচারে বড় দায়ী। পুলিশের কিছু বড় কর্তার ইন্ধন রয়েছে ইয়াবা পাচারে। তাদের সিন্ডিকেটই দেশজুড়ে ইয়াবা সরবরাহ করছে। তিনি দাবি করেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইয়াবা ধরে ঠিকই, কিন্তু টাকার বস্তার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।’ কী পরিমাণ ইয়াবা প্রতিদিন দেশে ঢুকছে তার সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া ইয়াবা উদ্ধার অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। ছোট ছোট এই ট্যাবলেট সহজেই বহনযোগ্য। সাধারণত পকেটে পুরেও কয়েকশ পিস ইয়াবা বহন করা যায়। একের পর এক অভিযান চালিয়েও মরণ নেশা ইয়াবার চোরাচালান কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। স্থল ও সমুদ্রপথে মিয়ানমার থেকেই প্রতিদিন আসছে একের পর এক ইয়াবার চালান। ২০১৫ সালে শুধু কক্সবাজার জেলা পুলিশই উদ্ধার করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪৬ পিস ইয়াবা। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে ৮২৯ জন ইয়াবা পাচারকারীকে। মামলা হয়েছে ৬৬০টি।  শুধু মিয়ানমার নয়, এখন ভারত থেকেও আসতে শুরু করেছে ইয়াবা। মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে ফেনসিডিলের পাশাপাশি ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। বিজিবির কর্মকর্তারা ধারণা করছে, সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় এসব ইয়াবা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে কারখানা থাকতে পারে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিজিবি’র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রিজিওন কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিল রহমান। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা আর ভারত থেকে নিয়ে আসা এসব ইয়াবার আকার এবং রং এক নয়’।

সিন্ডিকেটে যত ব্যবসায়ী : বহুল আলোচিত ইয়াবা সাম্রাজ্যের কর্ণধার রাসেল সিন্ডিকেটে কত জন ইয়াবা ব্যবসায়ী মাঠপর্যায়ে কাজ করেন তার হিসাব খোদ রাসেলও দিতে পারে না। এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, ‘আমার থেকে পাইকারিভাবে পিলের (ইয়াবা) সরবরাহ যায়— সেগুলো কতজনের হাত ঘুরে যে সেবনকারীদের কাছে পৌঁছে তা বলার উপায় নাই।’ অনুসন্ধানে তার প্রধান প্রধান ডিলারের নাম জানা গেছে। বাড্ডার আফতাবনগরে ইয়াবা ডিলার হিসেবে রয়েছে রিয়াদউল্লাহ, বনানী এলাকায় ইয়াবার বড় ডিলার জিয়াউল আমির পাপ্পু ওরফে বনানীর পাপ্পু। তিনি থাকেন বনানীতে। সেখানে আরেক ডাকসাইটের ইয়াবা ব্যবসায়ী প্রিন্স। বাবা নাকি সিনিয়র সচিব তাই থানা, পুলিশ, প্রশাসন কুছ পরোয়া নেহি। গুলশানের শ্যানোন, রিয়াসাত, রিসালাত, নিকেতনে তাসওয়ার, বনানীর বাবর ও পিংকু চৌধুরী, মহাখালী ডিওএইচএস এর ড্যানিয়েল, হাতিরপুল মোতালেব প্লাজার ফারহান, আদনান হুদা সাদ, এলিফেন্ট রোডের ইউনুস, ধানমন্ডির নিয়াজ, সীমা, হকি বাবু, আরাফ, সাগীর, মোহাম্মদপুরে পেদা শামীম, ফাহিম, সোহাগ, রাকিব, হূদয়, গোর্কি মারুফ, শেরশাহ সুরী রোডের জাহাঙ্গীর, আবু সাঈদ নাইম, লালমাটিয়ার আলাউদ্দিন পিংকু, বাড্ডার সুমি, বাড্ডা কুমিল্লা পাড়ায় ইয়াবা ডন আন্টু ওরফে লেংড়া আন্টু, বৈঠাখালী আনন্দনগর এলাকার আনোয়ার, হোসেন মার্কেট-ময়নাবাগে রাব্বী, ইমরুল, উত্তর বাড্ডার আকীক ও পোস্ট অফিস গলির বরিশাইল্যা দীপু, রেজাউল, কালাচাঁদপুরের লোটন, উত্তরায় ইয়াবা জামিল, মুগদা খালপারের ‘খাটো বাচ্চু’ অন্যতম ডিলার হিসেবে পরিচিত। বারিধারার ডিলার হিসেবে রয়েছে চান্দী, আসলাম, জাহিদ, সুফল, নাহিদ। মিরপুর এলাকায় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহ মাদক বিরোধী নানা ভূমিকা রাখলেও তার ছোট ভাই আলী মোল্লাহর মাদক বাণিজ্য থামাতে পারছে না কেউ। ঢাকা কলেজের উল্টো দিকে থাকেন ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকার ইয়াবার ডিলার দিপু চৌধুরী ওরফে ডিসি দীপু। ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মহাখালী ও পুরান ঢাকায় তার ব্যবসার নেটওয়ার্ক। মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকার বাসিন্দা ইমরান ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রক। কে বি রন্টি থাকেন আজিমপুরে। লালবাগ, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর ও পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করেন তিনি। সাইফুল ইসলাম টিপু ওরফে বেকা টিপু থাকেন রামপুরার বনশ্রী এলাকায়। তারা সবাই রাসেল সিন্ডিকেটের সাব-ডিলার হিসেবেই পরিচিত। ধানমন্ডির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ইয়াবাসেবী এক যুবক বলেন, ‘ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা চলে ধানমন্ডিতে।

এরপর উত্তরা, বনানী, গুলশান, নিকেতন ও বাড্ডা এলাকায়। রাসেল চক্রের সদস্যরা কৌশলে প্রথমে একজনকে ইয়াবায় আসক্ত করে। এরপর আসক্ত ব্যক্তিকে দিয়েই ইয়াবা বিক্রি করায়। এভাবে মাদকের জালে জড়িয়ে গেছে রাজধানীর হাজার হাজার মানুষ।

উত্তরা এলাকায় রাসেলের ইয়াবা সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন নাইজেরিয়ান তিন নাগরিক ওকোপ্সি সিমকো (২৮), ওকোফার সিকি (২৬) ও অ্যাডলাস স্যামুয়েল। তারা বারবার আটক হলেও অদৃশ্য ইশারায় ছাড়া পেয়ে যান। উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৩নং রোডে আফ্রিকার নাগরিক কামারা কাডে (৩৮), কোনজি লোভেনিয়া (৪০) রবার্টো মিলি মনোনো (৩২) ও গিনির নাগরিক কোনজি লোভেনিয়া (৪০)-কে রাসেলের বিভিন্ন ডিজে পার্টির মাদক অনুষ্ঠানে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি থাকে এবং নারী ঘটিত মারাত্মক সব অপরাধ ঘটায় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে এদেশীয় নারীদের নিয়ে ব্লুফিল্ম তৈরিরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর শোবিজ জগতের যেসব তারকা ইয়াবা সেবন করতেন তাদের অনেকে এখন ইয়াবা ব্যবসায়ী। ডিজে ও ডিস্কো পার্টির আড়ালেও চলছে ইয়াবা নামক মাদকের জমজমাট ব্যবসা। শুধু তাই নয়, ইয়াবা সেবন ও ব্যবসার পাশাপাশি এদের অনেকে এখন অন্ধকার জগেক বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত জীবনের এসব অপরাধ ও সংকট সমাজে প্রতিনিয়ত বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আর এদের পাল্লায় পড়ে রাজধানীর অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে বহু ধনী পরিবারের ছেলেরা বিপথগামী হচ্ছেন। এমনকি মেয়েরাও।

সর্বশেষ খবর