শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রভাবশালীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে

---—দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে প্রভাবশালীসহ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৫ হস্তান্তর উপলক্ষে দুদক মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপরাধী  যে-ই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, প্রভাবশালীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। শুধু প্রভাবশালী নয়, যারা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে, তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে।’ দুর্নীতি দমনে ৩২ দফা সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে বর্তমান কমিশন। চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি এবং কেউ অন্যায় আবদারের জন্য কমিশনে আসেনি বলে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিরোধ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে দুর্নীতি কমেছে। দুর্নীতির মামলায় গতকাল কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির তিন বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালতের কোনো বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া নেই। তবে আমরা প্রতিটি মামলায় সাজা চাই। কার সাজা হয়েছে এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নেই।’ দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। এটা দীর্ঘদিনের অভিযোগ। এজন্য আমরা সরকারকে সুপারিশ করেছি পুলিশের কার্যক্রম মনিটরে একটি স্বাধীন জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের। তা করতে পারলে পুলিশ আরও জনবান্ধব হবে এবং মানুষ অধিক সেবা পাবে। প্রত্যেক পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির একটি করে আয়কর নথি থাকা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি উপার্জনক্ষম ব্যক্তির কর দেওয়া উচিত। যদি কর ফাইল থাকে তাহলে সম্পদের হিসাব সহজে নেওয়া সম্ভব। এতে দুর্নীতি দমন করাও সম্ভব হবে। দুদকের গ্রেফতারের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা আতঙ্কে নেই। যারা ঋণ দেবেন এবং যারা নেবেন, উভয় পক্ষকে আইন-কানুন মেনে কাজ করতে হবে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে এ ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির কারণে ৫৬টি মামলা হয়েছে। আরও মামলা হবে। এসব মামলায় কারা আসামি হবে সে বিষয়ে অগ্রিম কিছু বলা যাচ্ছে না। অনুসন্ধানে যারা আসবেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। মূল উদ্দেশ্য গ্রেফতার নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা। ইতিমধ্যে দুর্নীতির মামলায় যারা আসামি তারা যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য দেশের সব বিমান ও স্থলবন্দরে আসামির পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সংবাদ সম্মেলনে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. নাসির উদ্দিন ও সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর