শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আলোচনায় কংগ্রেসম্যান প্রার্থী বাংলাদেশি রশিদ

প্রতিদিন ডেস্ক

আলোচনায় কংগ্রেসম্যান প্রার্থী বাংলাদেশি রশিদ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে প্রার্থী হওয়ার পর বাংলাদেশি রশীদ মালিক ইতিমধ্যেই আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। একমাত্র বাংলাদেশি প্রার্থী রশীদ ডেমোক্রেট পার্টির হয়ে জর্জিয়ার আটলান্টায় কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৭ এ লড়ছেন। জয়ী হলে তিনিই হবেন এবারের মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করা বাংলাদেশি। তাই রশীদকে জয়ী করতে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী মাঠে জোর তত্পরতা শুরু করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে কংগ্রেসে ছিলেন মিশিগানের হেনসেন ক্লার্ক।  ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনীত ক্লার্কের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে; ২০১১-১৩ সাল পর্যন্ত এক মেয়াদে তিনি ডিস্ট্রিক্ট-১৩  থেকে কংগ্রেসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

জানা যায়, রশীদ মালিকের জন্ম বাংলাদেশের জামালপুরে। শৈশব কেটেছে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে। বাবা আবদুল ওয়াদুদ মালিক ছিলেন আইনজীবী; মা মমতাজ মালিক ছিলেন রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ। পরে রশীদ ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। কানসাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্সভিলে বসবাস করেন তিনি। রশীদ জর্জিয়ায় মালিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। অবশ্য রশীদ এর আগে ২০১০ সালে  ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেট নির্বাচনে অংশ নিলেও জিততে পারেননি। বিডিনিউজের খবরে বলা হয়, অতীত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এবার জোরেশোরে প্রচার শুরু করা হয়েছে। মালিক ইতিমধ্যেই তার নির্বাচনী এজেন্ডায় বৈষম্যহীন বেতন-ভাতা, মাইক্রো-ইন্টারপ্রেনারশিপ পদ্ধতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ?্য ও শিক্ষা, সবুজ ও নিরাপদ জ্বালানি, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও বয়স্ক নাগরিক এবং পুলিশি সেবার উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। প্রতিদিনই তার পক্ষে সভা সমাবেশ ও তহবিল সংগ্রহের কাজ করছেন প্রবাসীরা। রশীদের পক্ষে প্রচারণা চালানো প্রবাসী বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফের মতে, ‘রশীদ মালিক এসেছেন বাংলাদেশিদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষার প্রতীক হয়ে। তাকে জয়ী করতেই হবে। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বদরুল হুদা খানের মতে, শিক্ষা বিস্তারে রশীদ মালিকের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েই থেমে থাকেননি, আটলান্টায় একটি ভোকেশনাল কলেজও স্থাপন করেছেন।  সেবামূলক কর্মকাণ্ডকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এখন কংগ্রেসে লড়ছেন। বাংলাদেশি এবং অভিবাসী সমাজের কণ্ঠস্বর হিসেবে ক্যাপিটল হিলে তার মতো একজন পরিশ্রমী মানুষের ভীষণ প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর