রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আরও হামলা, ভিডিওফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আরও হামলা, ভিডিওফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৩৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত আরও ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, এ নিয়ে মোট আটকের সংখ্যা ৪৪ জন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল ভোর ৪টা পর্যন্ত নাসিরনগরে সন্দেহভাজনদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ। হামলার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও নাসিরনগরের হিন্দু অধ্যুষিত ঋষিপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তরা ট্রলারে করে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ছাড়া এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নাসিরনগর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন রায়ের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটার আগে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে এ সুযোগে আগুন লাগায় দুর্বৃত্তরা। তবে আগুন ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে না লেগে পাশের পাটখড়িতে গিয়ে লাগে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতারে তাদের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতার ৪৪ জনকে গতকাল দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে র‌্যাব-১৪ কমান্ডিং অফিসার লে. ক. শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাদের খোঁজখবর নেন এবং সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, র‌্যাবের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। তাদের টহল দল নিয়মিত টহল দিচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত আছে। গোয়েন্দারাও কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘কোনো গোষ্ঠী অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এমন কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবকিছুই দেখছি।’

ঋষিপাড়ায় হামলার চেষ্টা : বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচটি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেওয়ার পর গতকাল আবারও হামলা চালানো হয়। উপজেলার ঋষিপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লঙ্গন নদী দিয়ে ট্রলারযোগে হামলাকারীরা এসেছিল। ঋষিপাড়া গ্রাম লক্ষ্য করে চালানো হয় হামলা। শিপন চন্দ্র ঋষি (২২) বলেন, ‘বেশ কয়েকজন যুবক লাঠি নিয়ে আমাদের গ্রাম লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে এগিয়ে আসতে থাকে। আমরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করি। গ্রামবাসী লাঠি নিয়ে বের হয়। এরপর তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এদের সংখ্যা ছিল ১৫-২০ জন।’ কামারগাঁও ঋষিপাড়া গ্রামের অতীন্দ্র ঋষি বলেন, ‘ভাঙচুর করতে করতে এগিয়ে আসছিল। তখন আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করি। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।’ তপু ঋষি বলেন, ‘হামলাকারীরা বহুসংখ্যক ঢিল মারে। আমরা গ্রামবাসী সতর্ক হয়ে পড়ায় দ্রুত তারা চলে যায়।’ সকাল সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। দ্রুত খবরটি পুলিশ ও প্রশাসনকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ ও র‌্যাব। বেলা ১১টায় সরেজমিন গেলে দেখা হয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফরের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ গ্রামে হামলার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ছুটে এসেছেন। এর মধ্যে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এবার মসজিদে লক্ষ্মীপ্রতিমা! : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এবার মসজিদে লক্ষ্মীপ্রতিমা পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের বিটুই গ্রামের বিটুই উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ভিতর থেকে পুলিশ প্রতিমাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মসজিদের ইমাম মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ভোরে ফজর নামাজের আজান দিয়ে মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে তিনি দেখেন সেখানে প্রতিমা রাখা। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশ ও এলাকাবাসীকে জানান। তার ধারণা, সরকারের এবং মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো কুচক্রী মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কুণ্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ওয়াছ আলী বলেন, ‘রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের ফলে ফায়দা লোটার জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর হিন্দু-মুসলমান মিলে সভা হয়েছে। যাতে কেউ এমন ঘটনা আর না ঘটাতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে এমন ঘটনা ঘটিয়ে কেউ আমাদের এলাকায় হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের ভাটা আনতে পারবে না।’ নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে প্রায় দুই ফুট উচ্চতার মূর্তিটি থানায় নিয়ে আসি। পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য কেউ এমন করতে পারে।’

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা : নাসিরনগরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা-বলয় তৈরি করা হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমানে চলছে পুলিশ-বিজিবি র‌্যাবের টহল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে, হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে এবং আস্থা সৃষ্টি করতেই এ নিরাপত্তা-বলয় তৈরি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

‘রামুর পুনরাবৃত্তি’ : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘রামুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে নাসিরনগরে। রামুতে প্রশাসন যতটা তত্পর ছিল এখানে তেমনটা নেই। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, নাসিরনগরে প্রশাসনের তেমন কোনো গাফিলতি নেই। এর পরও যেহেতু ঘটনাগুলো ঘটছে, তাই আমরা প্রশাসনের তদন্তে ভরসা রাখতে পারি না। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’ গতকাল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গৌরমন্দিরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রসরাজের বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করে। এ সময় শাহরিয়ার কবির বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনার তিন দিন পর এলাকায় এসে যা বলেছেন, তাতে ঘটনা আরও বেড়েছে। তার কথায় সংখ্যালঘুরা আশ্বস্ত হতে পারেনি। মানুষ মহাজোট সরকারের আমলে এমন ঘটনা দেখতে চায় না। মানুষ নিরাপত্তা চায়, আশ্বাস চায়। কিন্তু প্রশাসন তাদের সে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রসরাজের বাড়িতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি সে স্বল্প শিক্ষিত। ফলে রসরাজের ফটোশপে ছবি এডিট করা সম্ভব নয়। তার বাড়িঘর দেখে আমাদের মনে হয়েছে সে সংস্কৃতিমনা মানুষ। সে এমন কাজ করতে পারে না।’ বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার আগে রসরাজকে যাতে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। তা করা না হলে হামলাকারীরা উৎসাহিত হবে। এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সদস্য এরোমা দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার রুহুল আমীন ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। শুক্রবার রাত ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তারা। এ সময় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দফায় দফায় বৈঠক : নাসিরনগরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান আলেম সমাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী, আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী, মাওলানা সাজিদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হয়।

প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান : বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ গতকাল বিকালে নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি ভাঙচুরকবলিত স্থান ও মন্দিরগুলো দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ ধরনের হামলা কারও কাম্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানান, তাদের সঙ্গে সারা দেশের মানুষ রয়েছে। এ সময় প্রেস কাউন্সিলের সদস্য আকরাম হোসেন খান ও সচিব শ্যামল কুমার কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।

‘আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব নয়’ : নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের কথা নিয়ে সর্বত্র যে আলোচনা হচ্ছে, এটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, কেউ এ কথা প্রমাণ করতে পারলে ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি। উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে দলীয় লোকজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় দলের তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ উপজেলা বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে রবিবারের মিছিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে লোকজন আসে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তিনটি তদন্ত কমিটি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সৃষ্ট ঘটনায় গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটির তদন্তকাজ এগিয়ে চলেছে। সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সমাপ্ত হবে। পুলিশের সদর দফতর থেকে করা তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল সারা দিন নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশের চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শাখাওয়াত হোসেন গতকাল দিনভর এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল রাতে নাসিরনগর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, তদন্তকাজের অগ্রগতি হবে। এদিকে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আদেশ চন্দ্র দেবের করা অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাসিরনগর নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর।

সর্বশেষ খবর