পুলিশের অনুমতি না পেলেও আগামীকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে কাল দলের  কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হবে এবং আজ সন্ধ্যার পর থেকেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করা হবে। বিএনপির    সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর ৮ নভেম্বরও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেয়নি। ফলে আমরা কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি এটি। জনসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ৮ নভেম্বরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ন্যক্কারজনক খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। সোহরাওয়ার্দীতে অনুমতি না পাওয়ায় নয়াপল্টনে অনুমতি চেয়েছি। সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি কেন দেওয়া হয়নি জানতে পারিনি। নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি শুক্রবার। এ নিয়ে পুলিশের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা জনগণকে হতবাক করেছে। তিনি বলেন, ‘৪০ বছর ধরে বিএনপি এ কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার কারণে সরকার এবারই প্রথম বাধা দিচ্ছে। এখন তো  দেশে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। এরপরও বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতারের উদ্দেশ্য হচ্ছে- ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সমাবেশ বানচাল করা। তবে তিনি সমাবেশের অনুমতি পাবেন বলে আশাবাদী।’ তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রের, দলের নয়। দানবের মতো আচরণ করলে কখনই গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে না। তিনি জানান, আজ ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করবেন। এছাড়া দেশব্যাপী দলের সব ইউনিটে আজকের দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।