মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দাউদ মার্চেন্ট কোথায়

বিশেষ প্রতিনিধি

বলিউডের গুলশান কুমার হত্যা মামলার আসামি আবদুল রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্ট বাংলাদেশে ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে এখন তার অবস্থান কোথায় তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অস্পষ্টতা। ভারতের এই ফেরারি আসামিকে সে দেশের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কি না— সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তার কারাবাসের মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দাউদ মার্চেন্টকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান কারা কর্তৃপক্ষ। দুবাইয়ে থাকা ভারতীয় মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত দাউদ মার্চেন্টকে গত ৩ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় ঢাকার হাকিম আদালত। সেই কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তার মুক্তির ব?্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ।

অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ধরা পড়ে পাঁচ বছর কারাগারে কাটিয়ে ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর জামিনে মুক্তির পর ওইদিনই ফের ৫৪ ধারায় আটক হয়েছিলেন দাউদ মার্চেন্ট। আইন অনুযায়ী ৫৪ ধারার আটকাদেশের আয়ুষ্কাল এক মাস হলেও দাউদ মার্চেন্টকে দীর্ঘ দিন কোনো ব?্যাখ?্যা ছাড়াই কারাগারে কাটাতে হয়। গত বছর ৯ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করে, যা আদালতের অনুমোদন পায় প্রায় এক বছর পর। মুম্বাইয়ের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনি দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতারের পর ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ভারতীয় আদালত। এরপর সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দাউদ। কিন্তু ২০০৯ সালে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান তিনি। ওই বছরের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। এরপর জাল পাসপোর্ট তৈরি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিন পেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তাকে আবার ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন সময়ে দাউদকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হলেও বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে থাকে।

সর্বশেষ খবর