গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে আসা আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের কাছে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার চেয়েছেন সাঁওতাল পল্লীর অধিবাসীরা। আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সাঁওতাল পল্লীতে গেলে অন্যান্য অধিবাসীদের সঙ্গে রমিলা কিসকু এবং রুনা সরেন অভিযোগ করে বলেন, গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল আমাদের চিনিকলের জমিতে বসিয়েছে আবার তারাই আমাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করেছে। সাঁওতালদের ওপর হামলা ও হত্যার বিচার, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষতিপূরণ এবং জমি ফেরতের দাবি জানান তারা। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক টিপু মুন্সী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং কেন্দ্রীয় সদস্য রেমন্ড আরেং। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য (গাইবান্ধা-জয়পুরহাট) উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ শামস উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ নেতাদের সঙ্গে যোগ দেন। মাদারপুর ক্যাথলিক চার্চ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। সাঁওতাল পল্লীতে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধা করে দেওয়াসহ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন নেতারা। এ ছাড়া জমির বিষয়টি আইনগতভাবে দেখে সমাধা করা হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। অন্যদিকে পৃথক একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত, খুশী কবির, রবীন্দ্র সরেন, সঞ্জিব দ্রং, শারমিন মুরশিদ, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য, যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ প্রমুখ। এ সমাবেশে বক্তারা ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারী ও হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে সাঁওতালদের পূর্ব পুরুষের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান তারা।