সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাকার চারপাশের নদী দখল, ১৩ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাকে ঘিরে প্রবাহিত হওয়া নদীগুলোর তীর দখল করে গড়ে ওঠা ১৩টি স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো উচ্ছেদের প্রক্রিয়া দু-একদিনের মধ্যে আমরা শুরু করব। তবে এসব স্থাপনার মধ্যে ১৩টি স্থাপনা খুব দ্রুততার সঙ্গে অপসারণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, দখলকারীরা যত শক্তিশালী হোক, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাব। কয়েকটি নামও এসেছে, এ ১৩টির মধ্যে হয়তো অনেক প্রভাবশালী মালিকেরও স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোকেও আমরা উচ্ছেদ করব।

 তিনি বলেন, নদীর যে সীমানা পিলারগুলো নিয়ে আপত্তি ছিল সেগুলোর জন্য আমাদের নকশার প্রয়োজন। সেই নকশাগুলো ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব জেলা প্রশাসকের কাছে নকশা পৌঁছে দেওয়া হবে। শিগগিরই জেলা প্রশাসকরা এ নকশার ভিত্তিতে নদীর আপত্তিজনক সীমানা নির্ধারণে চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন বলেও জানান মন্ত্রী। সীমানা পিলারকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় নতুন করে অবৈধ দখলের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের একটি পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দেব। সেটি হলো, ফের জরিপ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব এলাকায় মাটি ভরাট বা কোনো ধরনের স্থাপনা করা যাবে না। তিনি বলেন, নদীর পাড়ের যে জায়গাগুলোর খাজনা বিআইডব্লিউটিএ নিয়ে থাকে, তহসিল অফিসে গিয়ে দেখা যায় এ জমির দাবিদার হিসেবে অনেকে খাজনা দিয়ে আসছে। তাদের খাজনা যাতে না নেওয়া হয় সে জন্য তহসিলদারদের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে। সীমানা পিলারের ডিজাইনের ব্যাপারে সভায় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, যে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে তার অধিকাংশ অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে সরিয়ে নিয়েছে। পিলার উপরের অংশে যে লোহার পাইপ দেওয়া হয়েছে তা কেটে নেওয়া হয়েছে। আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ সীমানা পিলারগুলো আরও শক্তভাবে করব। উপরের অংশে যেখানে পাইপ থাকে এটা আরসিসি দিয়ে করা হবে, যাতে কেউ কেটে নিতে না পারেন। তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণকে নিয়ে কমিউনিটি কমিটি করা হবে। যে যে জায়গা আমরা উচ্ছেদ ও অপসারণ করব সেসব জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে সে জন্য স্থানীয় জনগণকে নিয়ে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এত মিটিং করার পরও নদী দখল রোধে তেমন সাফল্য নেই—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের জনবল নেই। আমাদের শক্তিও কম। উচ্ছেদে যে যন্ত্রগুলো দরকার সেগুলোও আমাদের ছিল না। আধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে আমরা এটা শুরু করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর