সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গারো তরুণীর ‘ধর্ষক’ পালাল আদালত থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গারো তরুণীর ‘ধর্ষক’ পালাল আদালত থেকে

রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেল (২৬) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছেন। গতকাল দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আদালত সূত্র জানায়, গতকাল বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান উল হাসান আসামি রুবেলকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য আদালতে নিয়ে আসেন। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর খাসকামরায় নেওয়ার আগেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি রুবেল। এ বিষয়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আসামি রুবেলের পলায়নের পর দায়িত্বে অবহেলার জন?্য দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান উল হাসান এবং একজন কনস্টেবল। তারা দুজন রুবেলকে নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যান। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, আসামি পালানোর ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে আসামি রুবেলকে র‌্যাব-১ এর একটি দল গ্রেফতার করে। পরে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ২৫ অক্টোবর বাড্ডার ৩ নম্বর লেনের হাছান উদ্দিন সড়কের একটি বাসায় ওই গারো তরুণীকে আল আমিন, সালাউদ্দিন সালুসহ কয়েকজনের সহায়তায় ধর্ষণ করেন আসামি রুবেল। এ ঘটনায় ২৮ অক্টোবর ওই তরুণী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। রুবেলকে গ্রেফতারের পর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, রুবেল বাড্ডার চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা, রামপুরা থানায় ৯টি চাঁদাবাজি, অস্ত্র, ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই গারো তরুণী তার হবু স্বামী রিপন ম্রংয়ের সঙ্গে দেখা করতে হাছান উদ্দিন সড়কে হাজী রুহুল আমিনের মেসে যান। ওই দিন মেসের ম্যানেজার হানিফ অন্য ভাড়াটিয়া নাজমুল, সালাউদ্দিন সালু, জয়নাল, আল আমিন ও রনির উপস্থিতিতে রিপন ম্রংকে বলেন, মেসে মহিলা আনা নিষেধ। এ জন্য তিনি রিপন ম্রংকে মেস ছাড়ার নির্দেশ দেন। এ সময় সালাউদ্দিন সালু ফোনে রুবেলকে ডেকে আনেন। তার সঙ্গে আসে সন্ত্রাসী আল আমিন, রনি, সুমন ও নাজমুল। তারা মহিলা আসার কথিত অপরাধের দফারফা করার অজুহাতে ম্রংয়ের কাছে থাকা ১৭ হাজার টাকা এবং তার ব্যবহ্যত স্মার্টফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরে রুবেল ও তার সহযোগীরা ওই তরুণীকে পাশের হাজী মোশারফ মিয়ার পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর