মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অভিবাসী সুরক্ষার দাবিতে ক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিন ডেস্ক

অভিবাসী সুরক্ষার দাবিতে ক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কঠোর সমালোচনা এবং অবিলম্বে প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে অভি-বাসীদের সুরক্ষার দাবিতে রবিবার নিউইয়র্ক, লসঅ্যাঞ্জেলেস, সানফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, নিউ হ্যাভেন, পোর্টল্যান্ডসহ বিভিন্ন সিটিতে তুমুল বিক্ষোভ হয়। সবচেয়ে বেশি সমাবেশ-র‌্যালি হয়েছে নিউইয়র্ক সিটিতে। অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে লড়াইরত বিভিন্ন সংগঠনের এ কর্মসূচি ছিল ট্রাম্পের ‘অ-আমেরিকান নীতি’র বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভের পঞ্চম দিবস। হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে স্লোগান ছিল ‘ঘৃণা কখনোই আমাদের মহান করবে না’, ‘আমরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যই এসেছি’, ‘অবৈধ অভিবাসীরা কখনোই অপরাধী নন’, ‘আমেরিকা গড়ে উঠেছে অভিবাসীদেরই রক্ত-ঘামে’, ‘অবৈধ অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ চাই’, ‘নো হেইট, নো র‌্যাসিজম, নো ফ্যাসিজম’, ‘ট্রাম্প ইজ নট মাই প্রেসিডেন্ট’, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরে যেতেই হবে’, ‘এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য’ ইত্যাদি। খবর এনআরবি নিউজের। মেক্সিকো থেকে মা-বাবার সঙ্গে শিশু অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর বর্তমানে কলেজে অধ্যয়নরত ক্লাউডিয়া জামোরা বলেন, ‘আমার মা-বাবার বৈধ কাগজ না থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান করছেন। অপরদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলিয়নেয়ার হয়েও ১৬ বছর কোনো ট্যাক্স দেননি। এমন মানুষের মুখে অভিবাসন বিরোধী মন্তব্য মানায় না। ট্যাক্স ফাঁকির জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত।’ মিড টাউন মানহাটানে ট্রাম্পের বাসা এবং ট্রাম্প হোটেলে হামলার আশঙ্কায় আগে থেকেই পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের শত শত অফিসার জড়ো হন। বালুর বস্তা দিয়ে ব্যারিকেড রচনা করা হয় ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত বিজয়ের পর অনেক স্থানে মুসলমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হিস্প্যানিক, কৃষ্ণাঙ্গ এবং সমকামীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এভাবেই রিপাবলিকানরা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, যার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। সমাবেশ থেকে সব নাগরিকের নিরাপত্তায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর