শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোট ২২ ডিসেম্বর

মনোনয়ন দাখিল শেষ ২৪ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৪ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৪ ডিসেম্বর আর ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার—সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ তফসিল ঘোষণা করেন। এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন ইসির উপসচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার। সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রার পর নারায়ণগঞ্জে এটি দ্বিতীয় ভোট। তবে এবারে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। বিকাল পৌনে ৫টায় ইসির সম্মেলন কেন্দ্রে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। দেশের সপ্তম সিটি করপোরেশন নারায়ণগঞ্জ। ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ, কদমরসুল, সিদ্ধিরগঞ্জ— এ তিন পৌরসভা বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ওই বছর ৩০ অক্টোবর এ সিটিতে ভোট গ্রহণ হয়। এ ছাড়া ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ সিটির প্রথম সভা হয়। সে হিসাবে এ বছর ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

এক নজরে নারায়ণগঞ্জ সিটি : এতদিন স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন ছিল নির্দলীয়। তবে দল সমর্থিত প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ ছিল। এ বছর স্থানীয় সরকারের পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ দলীয়ভাবে করার পরে সিটি নির্বাচনেও দলভিত্তিক ভোট হতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থিতার সুযোগ রাখা হয়েছে। কাউন্সিলর পদে ভোট নির্দলীয়ই থাকছে। নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধে?্য পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ আর নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন। মোট ভোটার পাঁচ বছর আগের চেয়ে প্রায় পৌনে ১ লাখ বেশি। সম্ভাব?্য ভোট কেন্দ্র ১৬৩টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ২১৭টি। এর বিপরীতে ১৬৩ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ২১৭ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৪৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আস্থার বিষয় জনগণের ওপর : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার বিষয়টি জনগণই ঠিক করবে; তা ভবিষ্যতের ব্যাপার। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণার পর সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় ইসির প্রতি আস্থা সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। কাজী রকিব বলেন, ‘এ নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে যখন যেখানে যে ব্যবস্থা দরকার সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নজরদারি বাড়ানো হবে এবং টাইম টু টাইম অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।’ ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে গোলযোগ ও সহিংসতার পর নারায়ণগঞ্জের ভোটে ইসির ওপর জনআস্থায় সংকট হবে কিনা— জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থার বিষয়টি জনগণই ঠিক করবে। তারাই স্থির করবে। এটা ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা যতটুকু সম্ভব সুষ্ঠু, সুন্দর, ভালো, গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করছি। জিতলে ভালো, হারলে খারাপ— এটা ব্যক্তিগত বক্তব্য।’ সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহায়তার বিষয়টি স্মরণ করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনাও দেন সিইসি। কাজী রকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়ে থাকি আইন সামনে রেখে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেবেন। কার প্রতি ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা দেখার প্রয়োজন নেই।’ যে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিহত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর