বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সহিংসতার বদলে সহিংসতা চাই না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সহিংসতার বদলে সহিংসতা চাই না

বদিউল আলম মজুমদার

দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা সহিংসতার বদলে সহিংসতা চাই না। চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।’ তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নির্বাচনী সহিংসতা। তাই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পিস অ্যাম্বাসাডরদের দ্বিতীয় জাতীয় কনভেনশনে সভাপতির ভাষণ দিচ্ছিলেন। কনভেনশনের উদ্বোধন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ডিএফআইডির বাংলাদেশ প্রধান জেন এডমন্ডসন, ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জারুজেলস্কি এবং আইএফইএসের চিফ অব পার্টি সিলিয়া প্যাসিলিনা। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘অনেকে সমাজে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খলা দরকার বলে মনে করেন। কিন্তুু আমি মনে করি, এটি শান্তিপূর্ণ পথ নয়।’ প্রধান অতিথির ভাষণে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা যদি দলগত ও সম্প্রদায়গত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিগত পরিচয়ে বড় হতে পারি তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে।’ তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ এসে আমাদের শান্তির বাণী শোনাবে কেন? আমরা কি একে অন্যের বন্ধু হতে পারি না! ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আমরা কেমন দেখতে চাই তা নিয়ে ভাবতে হবে।’ সোহরাব হাসান বলেন, ‘আমাদের পরিবার ও সমাজে বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা বিরাজমান। আমরা যদি অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে পারি এবং অন্যের মতামত প্রকাশ করার অধিকার নিশ্চিত করতে পারি তাহলে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে পারব।’ জেন এডমন্ডসন বলেন, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গণতন্ত্র ও দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এ যাত্রার অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাজ্য গর্বিত। জেনিনা জারুজেলস্কি বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে এটি বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে এবং আন্তরিকভাবে অন্যের কথা শুনতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির ভাব গড়ে উঠবে।’ সিলিয়া প্যাসিলিনা বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা যেসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তা দেখে আমি অনুপ্রাণিত।’ কনভেনশনের শুরুতে ‘নির্বাচনী সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ম্যানেজার সৈকত শুভ্র আইচ মনন বিগত সময়ে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন। এ কনভেনশনে ২৯ জেলার ৪৮ উপজেলার প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় ২০০ জন ‘পিস অ্যাম্বাসাডর’ তাদের নিজ এলাকায় সন্ত্রাস-সহিংসতা দূর করা ও সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় যে ভূমিকা পালন করেছেন তার বিশদ তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর