বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গোবিন্দগঞ্জের ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে : আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক

গোবিন্দগঞ্জের ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে : আমু

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেছেন, ভূমিগ্রাসের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে সরকারি জমিতে সাঁওতাল বসতি স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা সাঁওতালরা ব্যবহৃত হচ্ছিল। যে স্থানে ওই ঘটনা ঘটে সেখানে এর আগে কোনো সাঁওতাল পল্লী ছিল না। উল্লিখিত জমি ১৯৫৪ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন চিনিকলের জন্য      আখ চাষে ব্যবহৃত হচ্ছিল। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী। শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ কমিটির সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় ভূমিদস্যুরা জড়িত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলায় স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। নরসিংদীতে দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান আমু। এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সাঁওতালদের জন্য মায়াকান্না করছে, মাসখানেক আগে তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি সাঁওতালদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে জমি ছেড়ে দিতে। এভাবে সরকারি জমি কেউ দখল নিতে পারে না। কিন্তু তারা প্রতিবারই চিনিকলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমরা এই জমি দখল না নিলে ভূমিদস্যুরা সাঁওতালদের তাড়িয়ে ওই জমির দখল নিত।’

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ ও রায়পুরের ঘটনা একেবারেই বিচ্ছিন্ন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এরই মধ্যে সরকার প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নিয়েছে। নাসিরনগরের ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো মহলের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর