বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পদ-পদবির কোন্দলে ট্রাম্প আলোচনায় মেয়ে-জামাই

প্রতিদিন ডেস্ক

পদ-পদবির কোন্দলে ট্রাম্প আলোচনায় মেয়ে-জামাই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখনো দেড় মাসের বেশি সময় বাকি। এর মধ্যে তাকে তার মন্ত্রিপরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ ঠিক করতে হবে। এ জন্য ট্রাম্পের বর্তমান উপদেষ্টারা নতুন মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু এর মধ্যে ট্রাম্প তার স্বভাব সুলভ আচরণে জানালেন কেবল তিনিই জানেন কারা থাকছেন পরবর্তী সরকারের উচ্চ পদগুলোতে। এই বার্তা তিনি টুইটও করেছেন। তবে মন্ত্রিপরিষদে কারা থাকছেন তা নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।

টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সুসংগঠিত প্রক্রিয়ায় সব কিছু এগোচ্ছে। এর ভিত্তিতেই আমি পরবর্তী  মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেব। তবে শেষ দৌড়ে কারা জিতবেন, তা কেবল আমিই জানি!’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে নিউজার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টিকে ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা কমিটির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণার পর ক্রিস্টি ও তার কয়েকজন সহযোগী এখন আর ওই উপদেষ্টা কমিটিতে কাজ করছেন না। এ ঘটনা দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ট্রাম্প সরকার গঠন ও অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়াসহ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করার জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে প্রধান করে ১৬ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করেছেন। এ কমিটিতে ট্রাম্প পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে। যা নিয়ে রিপাবলিকান দলেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই কমিটিতে আছে ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র, এরিক এবং মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প। ইভানকার স্বামী জেরাড কুশনারও অন্তর্বর্তীকালীন ট্রাম্প প্রশাসনে থাকছেন। এর মধ্যে ট্রাম্প অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিতে চিফ অব স্টাফ পদে রিক ডিয়ারবনকে ও সিনেটর জেফ সেশনকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি দায়িত্বে রয়েছেন কৃষাঙ্গ নেতা বেন কারসন। ইতিমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি আরএনসির চেয়ারম্যান রেইন্স পায়ারবাসকে চিপ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। চিফ অব স্টাফ পদটি হোয়াইট হাউসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার পদ। প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত সচিবের (পার্সোনাল সেক্রেটারি) মতো কাজ করেন ওই পদে থাকা ব্যক্তি। এই পদে নিয়োগ পাওয়া রেইন্স পায়ারবাস হাউস স্পিকার পল রায়ানের ঘনিষ্ঠ এবং রিপাবলিকান দলের বহু পুরনো বিশ্বস্ত সঙ্গী। অপরদিকে, ট্রাম্পের মুখ্য কৌশল কর্মকর্তা ও সিনিয়র কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করবেন কঠোর রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ব্রিটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের স্টিভ বেনন। তিনি ট্রাম্পের প্রচারণা দলের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। তবে অন্যান্য পদে নিয়োগ নিয়ে উপদেষ্টারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার মাইক পেন্স অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নেতৃত্বের পরিবর্তন, নতুন সরকারের নিয়োগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে যান। তিনি সেখানে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগের সমঝোতা চুক্তিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষর নেন। এই চুক্তিটি মূলত রাষ্ট্রের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে প্রেসিডেন্টের চুক্তি।  ইউএসএ টুডে।

আমেরিকায় মুসলমানদের ওপর হামলা বৃদ্ধির হার ৬৭ শতাংশ : ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৭ শতাংশ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী হামলার পর এটি হচ্ছে সর্বাধিকসংখ্যক হেইট ক্রাইম। ২০১৫ সালে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক হেইট ক্রাইম বেড়েছে ৭ শতাংশ। হেইট ক্রাইমে ১৮ ব্যক্তির প্রাণ গেছে। ধর্ষিতা হয়েছেন ১৩ নারী। গত সোমবার এফবিআই এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর : নিউইয়র্ক থেকে এনআরবি নিউজ। এফবিআই বলেছে, গত বছর পুলিশের কাছে হেইট ক্রাইমের মোট ৫৮৫০টি রিপোর্ট হয়েছে। ২০১৪ সালে এ ধরনের অভিযোগ ছিল ৫৪৭৯টি। এর ৫৭% ছিল বর্ণ, গোত্র অথবা জাতিগত বিদ্বেষের।

 আফ্রিকান-আমেরিকানদের ওপর হামলার হার ছিল ৫৩%। অশ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে হামলার হার ছিল ১৯%। সবচেয়ে বেশি ধর্মীয় ও বর্ণ বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৮৩৭টি। ৫০০টি নিয়ে দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে নিউইয়র্ক এবং তৃতীয় স্থানে ৪১৭টি ঘটনা নিয়ে রয়েছে ওহাইয়ো। ২০১৪ সালে গোটা আমেরিকায় মুসলমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল ১৫৪টি। গত বছর তা বেড়ে ২৫৭টি হয়েছে। এসব হামলায় হতাহত হয়েছেন ৩০০ জনের বেশি।

সর্বশেষ খবর