শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ সূচকে ২২তম বাংলাদেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৬ সালে বিশ্বের ১৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। এর আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৫তম। গতকাল এই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক প্রকাশ করেছে অস্টেলিয়ার সিডনিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস। ২০১৫ সালে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এবারের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর বিশ্বের প্রায় অর্ধেক সন্ত্রাসী ঘটনাই ঘটেছে ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে। এ সূচকে প্রথম আছে ইরাক। গত বছর সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ২০ শতাংশই ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে। আফগানিস্তানে ১৪, পাকিস্তানে ৮ এবং ভারতে ঘটেছে ৭ শতাংশ ঘটনা। বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে মোট ঘটনার ৪ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালটি ছিল বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন। বিগত দেড় দশকের মধ্যে গত বছরই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটা চার দেশের বাইরে যে ছয়টি দেশে বেশি সংখ্যায় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে—এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ। অন্য দেশগুলো হলো কুয়েত, তিউনেশিয়া, সৌদি আরব, ফ্রান্স ও তুরস্ক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মোট ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে নিহত হয় ৭৫ জন। বাংলাদেশে বেশির ভাগ সন্ত্রাসী ঘটনাই জামা’আতুল মুজাহিদীনের মতো স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে ঘটে। এই সংগঠনই এ বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার জন্য অভিযুক্ত। এ হামলায় মোট ২৯ জন নিহত হয়।

ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিসের প্রতিবেদনে গত বছর ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলার কথা বলা হলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা ছিল ২৮টি। এতে নিহত হয় ৩০ জন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আইএস ১১টি হামলার দায় স্বীকার করে। আর আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার করে ছয়টি হামলার। এ সংগঠনটি নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা বলে দাবি করে। সংগঠন দুটি এসব হামলায় তাদের দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার এসব হামলায় কোনো বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার দাবি শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। তবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় সংবাদ ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এসব সন্ত্রাসী ঘটনার বেশির ভাগের সঙ্গে ‘নব্য জেএমবি’ ও আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত।

গত বছর সন্ত্রাসী ঘটনায় সারা বিশ্বে নিহত মানুষের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আইএস বা বোকো হারামের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে তত্পরতার জন্যই এ সংখ্যা কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তারপরও যেসব সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, তাতে ৮ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর