রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন

বাংলাদেশ সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জাতিসংঘের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার সাধারণ মানুষ যাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি রাখাইন রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতিও আহ্বান জানায়। এতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। তবে এই অভিযানের নামে সেখানকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলমান সেই অভিযানে অনেক মানুষ গৃহহারা হয়েছে। আক্রান্ত মানুষের জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয় দরকার। অভিযান শুরুর পরপরই মিয়ানমারসংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দল বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে প্রতিবারই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কক্সবাজারের নাফ নদী দিয়ে এবং টেকনাফ ও উখিয়ার স্থলসীমান্ত দিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩১৭ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে।

ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ ভূখণ্ডের সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া রাখাইন রাজ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের জন্য চলা মানবিক সহায়তা কর্মসূচি নতুন করে শুরু করার আহ্বান জানায় ইউএনএইচসিআর।

এদিকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি জোরালো হচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন সংগঠন এ নিয়ে তত্পরতা চালাচ্ছে। একাধিক মানবাধিকার সংগঠনও বলছে, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী হিসেবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে সু চির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারই যুক্তিযুক্ত।

সর্বশেষ খবর