মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রে নীতি নির্ধারণে ঐকমত্য জরুরি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

গণতন্ত্রে নীতি নির্ধারণে ঐকমত্য জরুরি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, ‘নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের মতামত। গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিলেমিশে কাজ করার বিকল্প নেই। তবে মতামতের ভিত্তিতে মিলেমিশে কাজ করার প্রবণতা আমাদের মধ্যে নেই।’ গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে ‘দ্য পলিটিকস অব পলিসি মেকিং’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাবির ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে জেনারেল এম এ জি ওসমানী স্কলারশিপের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ফান্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরিন হাসান ওসমানী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের ১৯ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও সাতজনকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, যে কোনো নীতি বাস্তবায়নে ‘ইন্টারেস্ট গ্রুপ’ থাকা দরকার। যদি না থাকে তাহলে পলিসি মেকিংয়ে কোনো রুল থাকবে না। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের মতামত। গণতন্ত্রে পার্টিসিপেটরি প্রসেসের মাধ্যমে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নীতি বা পলিসি হচ্ছে একটা রূপরেখা। সব সময় সমন্বিত নীতির মাধ্যমে এগোতে হয়। এর সঙ্গে রাজনীতি জড়িত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনীতিতে মতামত নিয়ে তা করা হয়।’ জেনারেল ওসামানীর স্মৃতিচারণা করে সাবেক এই সিইসি বলেন, জেনারেল এম এ জি ওসমানী ছিলেন কিংবদন্তি। স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন স্পষ্টবাদী ও নির্ভীক।

সর্বশেষ খবর