পুলিশে কর্মরত নারী কনস্টেবলদের ১০ ভাগের বেশি যৌন হয়রানির শিকার হন। বাইরে অধিকাংশ ঘটনার অভিযোগ করা হয় না। কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের (সিএইচআরআই) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ‘সমতার কঠিন পথে বাংলাদেশের নারী পুলিশ’ শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং সিএইচআরআই। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী কর্মকর্তাদের (উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক) শতকরা তিন ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হন। ক্যাডার পর্যায়ের নারী পুলিশরাও কর্মক্ষেত্রে এ হয়রানির বাইরে নন। বর্তমানে পুলিশ বিভাগে নারী সদস্য ১১ হাজার ৩৮ জন। এটি পুলিশের মোট জনবলের ৫.৮৪ ভাগ। তবে নারী পুলিশরা মনে করেন, নারীদের কাজের জন্য পুলিশ বিভাগ একটি ভালো জায়গা। পুলিশের পোশাক তাদের পুরুষের সমান ক্ষমতা দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা পরিবারের সমর্থনও পান। কিন্তু নারী পুলিশদের জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দায়িত্ব দেওয়া হয় না। ক্যাডার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে মাত্র একজন নারী আছেন। জ্যেষ্ঠ পদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব কম। অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিএইচআরআইয়ের পরিচালক মায়া দারুওয়ালা, জাতিসংঘের নারীবিষয়ক আঞ্চলিক প্রতিনিধি ক্রিস্টিন হান্টার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (লজিস্টিকস অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ও বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি মিলি বিশ্বাস, সিএইচআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অদিতি দত্ত ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান আইনজীবী সালমা আলী প্রমুখ।
