বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রায় ফাঁসে কেন সাজা নয়

আত্মসমর্পণের নির্দেশ সাকার স্ত্রী-পুত্রকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সাবেক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সাকার ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় ফাঁসের ঘটনায় নিম্ন আদালতে তার স্ত্রী ও ছেলের খালাসের রায় কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়। আদেশের এ বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন ওই আদালতে নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক। শুনানিতে তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় ফাঁসের মামলায় ১৫ সেপ্টেম্বর সাকার স্ত্রী ও ছেলেকে খালাস দিয়ে আইনজীবীসহ পাঁচজনকে কারাদণ্ড দেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ে অন্যতম দণ্ডিত সাকার ম্যানেজার মাহবুবুল আহসানের আপিল (অ্যাডমিট) গ্রহণ ও জামিনের আবেদন নথিভুক্ত করে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সাকার স্ত্রী ও ছেলের বিষয়ে আদেশ দেন। মাহবুবুল আহসানের আইনজীবী সাজ্জাদ আলী চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সাকার স্ত্রী ও ছেলেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ ও তাদের জামিনের আবেদন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া সাকার স্ত্রী ও ছেলের খালাসের রায় বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করে কেন তাদের যথাযথ সাজা দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। আপিল নিষ্পত্তির পর গত বছর ২১ নভেম্বর সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার রায় ঘোষণার সময় তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের ‘খসড়া কপি’ও প্রদর্শন করেন। রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

সর্বশেষ খবর