তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সুন্দরবন ধ্বংসে রামপাল প্রকল্পের প্রতিবাদে ২৪ নভেম্বর চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকামুখী যাত্রা ও মহাসমাবেশে যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই সমাবেশ করা হবে। আশা করি সরকার এতে বাধা দেবে না। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবনের রামপালে বিদ্যুেকন্দ্র হলে ৩৫ লাখ মানুষ জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর চার কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। সরকারকে আবারও বলি, বিজ্ঞাপনী মিথ্যাচার, হামলা, হুমকি ও নিপীড়নের তত্পরতা বন্ধ করুন। রামপাল, রূপপুর, বাঁশখালী বিদ্যুেকন্দ্র নয়, জাতীয় কমিটির সাত দফাই বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান এবং টেকসই উন্নয়নের পথ দেখাতে পারে। আনু মুহাম্মদ বলেন, পুলিশের অনুমতির ব্যাপারে সব নিয়ম পালন করছি। সব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে আমরা নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করতে চাই। সরকার যে দমনপীড়নের পথ নিয়েছে, তা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানিয়েছি, তারা যাতে নজরদারি রাখে। আশা করছি, সরকার মহাসমাবেশে কোনো বাধা দেবে না। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, রামপাল প্রকল্পের প্রতিবাদে এবং জাতীয় কমিটির সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশের সাতটি প্রান্ত থেকে ২৪ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শুরু হবে। এই যাত্রা শেষে ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করা হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
