সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের মতো জাতীয় দুর্যোগে সব সময় সশস্ত্র বাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সামরিক জীবনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ সবাইকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখে, পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, দক্ষতা বাড়ায়; সর্বোপরি আনুগত্য বাড়ায়। গতকাল দুপুরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ষষ্ঠ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুলকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে প্রতি বছর বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। তাই প্রশিক্ষণের মান অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হতে হবে, যাতে দেশ ও বিদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেন। অর্ডন্যান্স কোরের কাজের প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অর্ডন্যান্স কোর জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সেনাবাহিনীকে পরিপূর্ণরূপে সমরসজ্জিত করার গুরুদায়িত্ব অর্ডন্যান্স কোরের ওপর ন্যস্ত। শুধু সেনাবাহিনী নয়, অর্ডন্যান্স কোর বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ ও আনসারের গোলাবারুদের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। তিনি বলেন, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের ওপর বিশেষায়িত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই কোরের সদস্যরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি দমন অভিযানে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অপরিহার্য অংশ হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অর্ডন্যান্স কোরের সদস্যদের রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। বক্তৃতা দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি আর্টিলারি কোরের প্যারেড পরিদর্শন ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, সামরিক উপদেষ্টা, অর্ডন্যান্স কোরের সাবেক সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।