মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

নৌকা-ধানের শীষ প্রচারযুদ্ধ শুরু

কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে, বাবার কবর জিয়ারত করে প্রচারে আইভী, দরগাহ জিয়ারত করে ভোটযুদ্ধে সাখাওয়াত

মাহমুদ আজহার ও রফিকুল ইসলাম রনি, নারায়ণগঞ্জ থেকে

নৌকা-ধানের শীষ প্রচারযুদ্ধ শুরু

প্রতীক পাওয়ার পর গতকাল আইভী ও সাখাওয়াত —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) শুরু হয়েছে প্রচারযুদ্ধ। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। প্রচারপত্র বিলি আর মাইকের আওয়াজে পুরো নগরে বইছে ভোটের হাওয়া। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সব প্রার্থীর স্রোত ছিল নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়মুখী। এরপর প্রার্থীরা ছড়িয়ে পড়েন নগরের অলি-গলিতে। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে যুক্ত হন দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকালে মিছিল, মিটিং আর গণসংযোগের নগরী হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ। নগরীর মাসদাইরে বাবা আলী আহমেদ চুনকার কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বাবা ভাষাসৈনিক একেএম সামসুজ্জোহা ওসমানের কবর জিয়ারত করেন আইভী। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান শুরু করেন বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের কদম রসুল দরগাহ জিয়ারতের মধ্য দিয়ে। এ সময় দরগাহ শরিফে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতীক নিতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যান আইভী। অন্যদিকে পৌনে ১২টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসেন সাখাওয়াত হোসেন। অন্য মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গেও কম বেশি নেতা-কর্মী দেখা গেছে। প্রতীক পাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয়ে স্পন্দন বুঝেই আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়েছেন। এটা শুধু আমাকে না গোটা নারায়ণগঞ্জবাসীকে এ প্রতীক দিয়েছেন। আমি আশা করব ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতা গণরায়ে এ প্রতীককে বিজয়ী করবে। আমি গণরায় মেনে নেব। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি আইভী ও নৌকা আলাদা কেউ নয়। এ দুটি নাম কোনো বিচ্ছিন্ন নাম নয়। দুই নামকে আলাদা করার সুযোগ নেই। এবার নির্বাচনে আমার স্লোগান হলো নয় শঙ্কা নয় ভয় শহর হবে শান্তিময়। নারায়ণগঞ্জে কোনো সন্ত্রাসী থাকবে না। সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। দলমত নির্বিশেষে নাসিকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাকেই ভোট দেবে। দলীয় ঐক্যের প্রশ্নে তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে শুরু করে সব আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে আছেন। ঐক্যের ডাকে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। বেলা পৌনে ১২টায় ধানের শীষ প্রতীক গ্রহণ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে সিটি করপোরেশনের সরকারি কর্মচারী ও চাকরিজীবীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে মিছিল করেছেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থী প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ সময় তিনি বলেন, ধানের শীষ হলো গণতন্ত্রের প্রতীক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আমি আশা করি মানুষ ভোট দিতে পারলে ২২ ডিসেম্বর গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। এতদিন পর্যন্ত সরকারি দলের প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলছে। তা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এত কিছুর পরেও আমি নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। আমি মনে করি বিগত দিনের মতো এ নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ করবে না। এ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়ে তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানতে চাচ্ছি। সারাক্ষণ যদি আমি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করতে থাকি তাহলে প্রচারণা কখন করব। গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়া সবচেয়ে বড় প্রহরী। আপনারাই পারবেন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। মানুষকে উৎসাহিত করতে। বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরতে। বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে দলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সঙ্গে নিয়ে মহানগর ও জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তারা মহানগর নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলেন স্থানীয় নেতারা। তার মধ্যে সরকারবিরোধী নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করা, দলীয় নেতা-কর্মীদের না ডাকাসহ নানা অভিযোগ। কেন্দ্রীয় নেতারা নৌকার স্বার্থে, দলের স্বার্থে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। স্থানীয় নেতারাও নৌকার স্বার্থে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন এবং গতকাল রাতে তারা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অসীম কুমার উকিল, আফজাল হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, শামসুন্নাহার চাপা, পারভীন জামান কল্পনা, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আমিরুল ইসলাম মিলন, মারুফা আক্তার পপি, মেরিনা জামান ও যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের দোয়া নিয়ে আইভী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নেমে পড়েন। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান প্রমুখ। প্রথম দফার বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, নৌকা আইভীর নয়, নৌকা বঙ্গবন্ধুর, নৌকা শেখ হাসিনার। আমরা নৌকাকে বিজয়ী করতে মাঠে থাকব। নেত্রীর সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবে। নৌকা নিয়ে আগে প্রতিযোগিতা থাকলেও এখন কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ বলেন, ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত যখন আন্দোলন শুরু করে তখন এই নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ছাড়া আর কাউকে মাঠে পাইনি। জামায়াত-বিএনপি যখন জ্বালাও-পোড়াও শুরু করল তখন শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমি আছি। সে সময় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আজকেও আমরা শামীম ওসমানের নির্দেশে নৌকার পক্ষে কাজ করব। তার নির্দেশেই মাঠে নেমেছি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ যা বলে তাই করে। তারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপসহীন। নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন মহানগর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিবাদ মীমাংসা করে সবপক্ষকে মাঠে নামাতে। আমাকে আপনারা কথা দেবেন। নৌকাকে জয়ী করতে প্রতিটি নেতা-কর্মী ভোটারদের ঘরে ঘরে যাবেন। এ সময় সব নেতা-কর্মী হাত উঁচিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিকালে কদম রসুল দরগাহ জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক এমপি আবুল কালাম, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সাখাওয়াতের পক্ষে ভোট চেয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণসংযোগে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পেতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাই। নারায়ণগঞ্জবাসীকে অনুরোধ, ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করুন।’ দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা রাতেই ঢাকা ফিরে যান। পরে উভয় দলের প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। দলীয় প্রতীক সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করেন। এ সময় প্রার্থীদের হ্যান্ড মাইকে কথা বলতে দেখা যায়। মেয়র পদে অন্য প্রার্থী  ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন আইভী।

জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতাকে লাঞ্ছিত করলেন সাখাওয়াত! নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি প্রবীণ নেতা জান্নাতুল ফেরদৌসকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ওই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ক্লাবের সামনে এসে পৌঁছান সাখাওয়াত হোসেন খান। তখন সঙ্গে আসেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ওয়ান-ইলেভেনে বিএনপিকে সক্রিয় রাখতে কাজ করেছিলেন তিনি। ওই সময়ে সাখাওয়াত ও তার লোকজন মিলে জান্নাতুল ফেরদৌসকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ও লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে ফেরদৌস ক্ষুব্ধ হয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। তবে সাখাওয়াত হোসেন খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। প্রতীক বরাদ্দের সময়ে কিছু নিয়ম ছিল। তা মেনে চলেছি। তখন হয়তো অনেকেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি।’

তাদের দিকে কারও নজর নেই : নাসিক নির্বাচনে আলোচনার বাইরে রয়ে গেছেন ৫ মেয়র প্রার্থী। প্রধান দুই হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের দিকেই সবার চোখ। ভোটার থেকে শুরু করে মিডিয়ার নজরও যেন নেই ওই ৫ মেয়র প্রার্থীর দিকে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া মেয়র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, এলডিপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃৎত কামাল প্রধান, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি এজহারুল হক ও কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফৌরদোস।

নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডে ২৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট : প্রচার প্রচারণাসহ নির্বাচনী আইন নিয়ম-কানন নজরদারিতে গতকাল থেকে নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছে। তারা মাঠে বিভিন্ন অনিয়ম  বা প্রচার-প্রচারণায় কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ আইন প্রয়োগসহ নিরাপত্তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। গতকাল শহরের নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে প্রতীক বরাদ্দ শেষে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের জন্য পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ অন্যান্য সংগঠনের নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক থাকবেন। বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া হবে। প্রার্থীরা ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি মাইক ও ৪টি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবেন।’ সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় আছে। যদি ভবিষ্যতে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে একেক সময় একেক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতির ওপর পর্যবেক্ষণ করে উচ্চপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করব।’  বিএনপি প্রার্থীর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেউ যেন মনে না করেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কেউ বেঁচে যাবেন। কেউ এ রকম করে থাকলে তাকে মনে করতে হবে তিনি শাস্তির দিকে পা বাড়াচ্ছেন। সোমবার থেকে নির্বাচনের ২০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে গণসংযোগ করতে পারবে। এর বাইরে গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর