শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
জেলা পরিষদ নির্বাচন

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০ জন, আরও ১৬টিতে সমঝোতার চেষ্টা

গোলাম রাব্বানী

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিমধ্যে ২০ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। ১১ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া ১৬ জেলায় দুজন করে প্রার্থী মাঠে থাকায় সেখানে চলছে সমঝোতার প্রক্রিয়া। প্রায় সব প্রার্থীই সরকারদলীয় নেতা। দলের সমর্থনের বাইরে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের বসিয়ে দিতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিল অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে। এর আগে ১২ জন একক প্রার্থী ছিলেন। গতকাল কমিশনের ওয়েবসাইট ঘেঁটে আরও আটজনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেসব জেলার প্রার্থীরা নির্বাচিত হতে চলেছেন সেগুলো হলো : বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, জয়পুরহাট, যশোর, ঝালকাঠি, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, ঠাকুরগাঁও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০টির বাইরে ৪১টি জেলায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী ও মহাজোটের শরিক দলের অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী হওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধির ভোটে হতে যাওয়া এই নির্দলীয় নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত কোনো প্রার্থী অংশ না নেওয়ায় শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এ নির্বাচন যেহেতু নির্দলীয়, সেহেতু আমরা প্রার্থীদের সমর্থন দিতে পারি। ইতিমধ্যে দল সমর্থিত প্রার্থীর নামও জানানো হয়েছে। আশা করি দলের নেতা-কর্মীরা একক প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে যাবে। দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তারা। যেহেতু প্রার্থী হয়েছে অনেক জায়গায়, তাদের বুঝিয়ে প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর দেখা গেছে, দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন : বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফরিদপুর, ফেনী, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, নীলফামারী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, রংপুর ও শরীয়তপুর জেলায়। তিনজন করে প্রার্থী রয়েছেন : খুলনা, মাগুরা, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে। চারজন করে প্রার্থী রয়েছেন : বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, নড়াইল, নোয়াখালী, পাবনা, পিরোজপুর, রাজবাড়ী, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও লালমনিরহাট জেলায়। পাঁচজন করে প্রার্থী রয়েছেন : গাইবান্ধা. মানিকগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে। ছয়জন করে প্রার্থী রয়েছেন : চাঁদপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ ছাড়া জামালপুরে সাত ও পঞ্চগড়ে আটজন প্রার্থী বৈধ রয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বাছাইয়ের পর সাধারণ সদস্য পদে একক প্রার্থী রয়েছেন ১৩৭ জন, আর সংরক্ষিত ৫১ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, চেয়ারম্যান পদে ১৯০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। সদস্য পদে ৩ হাজার ৫৬১টি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদের জন্য ৮৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই নির্বাচনে সরাসরি ভোট হবে না। জেলাগুলোয় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর