শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিস্ময়কর সাফল্য জিডিপির

গোলাম রাব্বানী

বিস্ময়কর সাফল্য জিডিপির

মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২.১৭ ভাগ। আর ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৭৫ ভাগ। বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৭.১১ ভাগ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ৭.২০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ইতিপূর্বে স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি কখনো ৬ ভাগের ওপরে যায়নি। এখন শুধু ৬ ভাগ নয়, ৬-এর  বৃত্ত ভেঙে গত বছর (২০১৫-১৬) জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি ৭-এর ঘরে উন্নীত হয়েছে, যা ছিল ৭.১১ ভাগ। এদিকে গত সাত বছরে সারা বিশ্বে গড়ে জিডিপিতে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে মাত্র ১৭টি দেশ। তার মাঝে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্বে ২০০৮ সালের সৃষ্ট অর্থনৈতিক মহামন্দা  মোকাবিলা করে আমাদের এই অর্জন বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অর্থ বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী, প্রথম বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ২.১৭ ভাগ। এ ছাড়া পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ৭০ দশকে তথা ৭৩ সাল থেকে ৭৯ সাল পর্যন্ত জিডিপি ছিল ৫.৯১ ভাগ। ৮০ সাল থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত ছিল ৪.০১ ভাগ। আর আওয়ামী লীগ যখন পুনরায় ক্ষমতায় আসে সেই সময় ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে ছিল ৪.৪৯ ভাগ। পরে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬.৫৫। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭.১১ ভাগ। জানা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ। দেশের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগকে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ফলশ্রুতিতে উৎপাদনশীলতা ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে শিল্পের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অধিক গুরুত্ব দেওয়া এবং শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়িত হলে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর