রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিশ্বজয়ের হাতছানি আউটসোর্সিংয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বজয়ের হাতছানি আউটসোর্সিংয়ে

বাংলাদেশের তরুণদের কাছে এখন স্বাধীন, সম্মানজনক এবং দক্ষতানির্ভর চাকরি মানেই আউটসোর্সিং। বাংলাদেশে যেখানে বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে, সেখানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করছেন। আউটসোর্সিং সৃজনশীল পেশা হিসেবেই বিবেচিত। আর বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ আউটসোর্সিং দেশগুলোর অন্যতম। গত বছর আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আয় করেছে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর ২০৪১ সালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে বেশ কিছু প্রকল্পও বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য মোট ৩৪ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হচ্ছে। যারা কিনা নিজেও শিখবে অন্যদেরও আউটসোর্সিং শেখাবে। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের একটি বড় মাধ্যম হবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এ জন্য বিশ্বব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি দাতা সংস্থা আইসিটি খাতের উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতাও দিচ্ছে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি। ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধির সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয়ের হারও দিন দিন বাড়ছে। এরই মধ্যে আউটসোর্সিং আধুনিক ও সম্মানজনক পেশার স্বীকৃতি পেয়েছে। আর ঘরে বসে তরুণ-তরুণীরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার বিষয়টিকে সরকারই গুরুত্ব দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করা এবং এর দাম কমানো ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা গেলে আউটসোর্সিং খাতের আরও প্রসার ঘটবে। কিন্তু ইন্টারনেটের দাম না কমালে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত তরুণরা কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে আবাসিক সুবিধাসহ তিন থেকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রতিটি স্তরে আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের তরুণরাই নেতৃত্ব দেবে। বর্তমানে আইটি খাতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। আগামীতে আইসিটি সেক্টর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবে।’ তিনি আরও জানান, চলতি বছর আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট আছে। আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন যুবক জানান, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয় করতে হলে বেশ কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। প্রথমেই বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর কম্পিউটার বিষয়ক কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। এটি হতে পারে প্রোগ্রামিং বা গ্রাফিক ডিজাইনিং। এর সঙ্গে ডাটা এন্ট্রি বা প্রবন্ধ লেখার কাজ করা যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর