রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইনবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আইনবহির্ভূত হত্যা বা অত্যাচার যাই হোক না কেন, সরকারের নজরে আনা হলে এ বিষয়ে অত্যন্ত শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান সরকার সংবিধানের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের চেয়ে আর কেউ বেশি উৎসাহী নয়। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আইনবহির্ভূত হত্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিরাট বাধা। সেজন্য এ ধরনের সংবাদ সরকারের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আপনারা খবরের কাগজে যেসব দেখছেন সেগুলোর ব্যাপারেও আমরা সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।

সাম্প্রতিক নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে এবং এ কারণেই অনেক তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে। ধর্ষণ মামলার আসামির খালাস পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে তারা খালাস পাচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে পরিবার ও ভিকটিমের যথোপযুক্ত সাক্ষীর প্রয়োজন। এ বিষয়ে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সহযোগিতা করতে হবে। কোনো প্রলোভন বা চাপে সাক্ষ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করা যাবে না। খসড়া বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ বিধান রাখার সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশেষ বিধানের আলোচনায় গিয়ে আমরা আইন প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্যকেই ভুলে যাচ্ছি। এ আইনের মূল কথা হচ্ছে ১৮ বছরের আগে কোনো কন্যাকে এবং ২১ বছরের আগে কোনো পুরুষকে বিয়ে দেওয়া যাবে না বা তারা বিয়ে করতে পারবে না। কেবল বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পিতা-মাতার সম্মতিতে এবং আদালত অনুমতি দিলে ১৮ বছরের আগে কোনো কন্যাকে বিয়ে দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, আমাদের আজকের যে বাস্তবতা, গ্রামের যে অবস্থা, তার আলোকেই বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে এই বিশেষ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তাই ওই আইনে এই বিশেষ বিধানযুক্ত থাকাতে আইনের মূল উদ্দেশ্য নস্যাৎ বা ব্যাহত হয়নি বলে তিনি মনে করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম এবং ইউএনডিপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক বেরেসফোর্ড বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর