সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রকাশ্যে রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশ্যে রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ। ইনসেটে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন মানিক —বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন মানিককে গতকাল দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ সময় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নগরীর আলকরণ এলাকায় তার ওপর হামলা চালানো হয়।

এ হত্যার জন্য যুবলীগ নেতা মো. রানাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। নিহত মানিক ও অভিযুক্ত রানা দুজনই সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। ঘটনার ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, আলকরণের সাহেবপাড়া এলাকায় একটি মুদির দোকানের মালিকানা নিয়ে মানিকের সঙ্গে যুবলীগ নেতা রানার বিরোধ ছিল। এ নিয়ে দুজন পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। কিছুদিন আগে মানিকের করা মামলায় গ্রেফতার হন রানা। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হন। গতকাল আদালতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন মানিক। পথে রানা অনুসারীদের নিয়ে মানিকের ওপর হামলা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হন মানিক। মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল রানা ও মানিকের মধ্যে। এ নিয়ে প্রায়ই সংঘাতে লিপ্ত হতো দুই গ্রুপ। সর্বশেষ গত শনিবার রাতেও রানা ও মানিক গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।

এদিকে হত?্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ রানা (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রানার সঙ্গে মানিকের বিরোধ ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পুলিশের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ জানান, যেখানে মানিককে খুন করা হয় সেখান থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট মোড়ের দূরত্ব একশ গজেরও কম। ব?্যস্ত সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানিককে গুলি করে ‘ঘাতকরা’ পালিয়ে যায়। এক কলা বিক্রেতা জানান, তিনজন যুবক অপর এক যুবককে গুলি করলে পথচারীদের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, অস্ত্রধারীদের একজনকে তিনি কোতোয়ালি মোড়ের দিকে এবং বাকি দুজনকে কালীবাড়ি মোড়ের দিকে হেঁটে যেতে দেখেছেন। গুলির ঘটনার পরপরই ওই এলাকা থেকে রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রানাও দারোগাহাট এলাকার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, ‘রানার প্যান্টে রক্তের দাগ ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম সেও ভিকটিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, তার মামার দোকান ভাড়া নিয়ে মানিকের সঙ্গে বিরোধ ছিল।’

 

সর্বশেষ খবর