শিরোনাম
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধির গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই মর্মে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে এক নোটিসে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই নোটিসের কপি পাওয়া যায়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোশতাক আহাম্মদ স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ ও বরখাস্তকরণ, সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৭ সংশোধনকল্পে সুপ্রিমকোর্টের প্রস্তাবিত খসড়া বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই মর্মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সানুগ্রহ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার এবং সংশ্লিষ্টদের এ নোটিসের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর হাজির করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মৌখিক নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। গত ১ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পালন না করে ৮ ডিসেম্বর আবারও সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আপিল বিভাগ আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হককে আজ আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে আপিল বিভাগ যে রায় দেয়, তাতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা তৈরির নির্দেশনাও ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে গত ২৮ আগস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ। পরে ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিমকোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এ ছাড়া ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ নভেম্বর মামলাটি কার্যতালিকায় এলে রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি জানাতে না পারায় বিধিমালা চূড়ান্ত করার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা লিখিতভাবে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আট সপ্তাহ সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়।

সর্বশেষ খবর