বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হুন্ডিতেই হয় সর্বনাশ

মির্জা মেহেদী তমাল

হুন্ডিতেই হয় সর্বনাশ

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অর্ধকোটি টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ নিজামুল হক ফরায়েজী নামে এক হুন্ডি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তিনি দুই মাস আগে কাতার এয়ারলাইনসের কিউআর ৬৩৭ ফ্লাইটে দুবাই যাচ্ছিলেন। উড়োজাহাজে ওঠার আগ মুহূর্তে তিনি ধরা পড়েন শুল্ক ও গোয়েন্দাদের হাতে। ২৯ নভেম্বর দিনাজপুরের হিলিতে হুন্ডির ১৬ লাখ টাকাসহ আবু তালিব ও আইনুল ইসলাম নামে দুই হুন্ডি ব্যবসায়ীকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরা টাকা নিয়ে ভারত যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর কয়েক দিন আগে ভারত যাওয়ার পথে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের আমড়াখালী বিজিবি চেকপোস্ট থেকে হুন্ডির ২৬ লাখ টাকাসহ ইয়ানুর নামে অপর এক হুন্ডি ব্যবসায়ীকে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা।

আকাশ ও স্থলপথে অবৈধ হুন্ডিতে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো এমন দু-একটি ঘটনা ধরা পড়লেও অজানা থেকে যাচ্ছে বড় অঙ্কের ঘটনা। হালে বিদেশে অবৈধ টাকা পাচারে জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘হুন্ডি’। দেশ-বিদেশে গড়ে তোলা শক্তিশালী হুন্ডি সিন্ডিকেট গ্রাহকের টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। দিনে দিনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা এই হুন্ডি নিয়ে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকও উদ্বিগ্ন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে হুন্ডি রোধের পথ খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন গোয়েন্দা  সূত্র জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হুন্ডির সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় সরকার এ ব্যাপারে তাত্ক্ষণিক কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের একশ্রেণির রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী তাদের বিপুল অঙ্কের টাকা হুন্ডি করছেন। নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থানে আবারও সেই টাকা তারা ফেরত পাচ্ছেন। অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা অর্থে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম করছেন। একই পথে পাঠানো দেশের পুঁজি বিদেশে নিয়ে বাড়ি, জমি, হোটেল, মোটেল ক্রয় ছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন। চিকিৎসা খরচ এমনকি সন্তানদের লেখাপড়ার অতিরিক্ত খরচও যাচ্ছে একই পথে। বিশ্বের নামিদামি জুয়ার আসরে খেলার টাকাও দেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে হুন্ডিতেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিগত ১০ বছরে দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে চার লাখ কোটি টাকারও বেশি। এর বেশির ভাগ পাচার হয়েছে হুন্ডিতেই। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হুন্ডিতেই সর্বনাশ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। গোপনে এই পথে দেশের পুঁজি চলে যাচ্ছে বিদেশে। সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি শিথিল হয়ে পড়ায় দিন দিন অবৈধ হুন্ডির মাত্রা বাড়ছেই। তারা মনে করেন, হুন্ডির সঙ্গে জড়িত কেউ কেউ ধরা পড়লেও তাদের শাস্তি হয় না। একই ব্যক্তি বারবার ছাড়া পায় আবার ধরা পড়ে। এমন অনেক উদাহরণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে এই হুন্ডির কারণেই। গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডি টাকা পাচারের একটি ভয়ঙ্কর মাধ্যম। কেননা আমদানি বা রপ্তানির মাধ্যমে টাকা পাচার করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হয়। এর ফলে অপরাধীর পরিচয় একসময় পাওয়া যায়। কিন্তু হুন্ডিতে মূলত এজেন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়। এটি পুরোপুরি চলে বিশ্বাসের ওপর। এখানে কোনো কাগজপত্রের লেনদেন হয় না। এ প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার করা হলে পাচারকারীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা স্থানান্তরে খরচ কম। এ কারণেই পাচারকারীরা হুন্ডিকেই পছন্দ করে বেশি। তবে এ যাত্রায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। কোনো কারণে টাকা আত্মসাৎ করা হলে তা আর ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তিনি বলেন, আগের তুলনায় হুন্ডি ব্যবসায়ীরা এখন অনেক বেশি সক্রিয়। এখন বিদেশ থেকে বা দেশে টাকা স্থানান্তর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে এ ক্ষেত্রেও হুন্ডিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন পাচারকারীরা। বাংলাদেশে বড় মাপের বেশ কয়েকজন হুন্ডি ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এই ব্যবসা গোপনে চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অফিসও রয়েছে। অর্থ পাচার নিয়ে জরিপকারী ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফিনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই)-এর মতে, দুর্নীতিপরায়ণ সরকারি কর্মকর্তা, অপরাধী এবং কর ফাঁকিবাজরা বিদেশে সম্পদ স্থানান্তর করতে অর্থ পাচার করে থাকে। করের স্বর্গ বলে পরিচিত দেশে, বেনামি কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং গোপন ব্যাংক হিসেবে রাখার জন্য অর্থ পাচার করা হয়। তাদের এই প্রাক্কলন অত্যন্ত রক্ষণশীল। কেননা এতে সেবা খাতের লেনদেন, অপরাধ সংগঠনের জন্য নগদ লেনদেনের মতো ডাটা থাকে না। আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক দেশের ডাটার মধ্যে গরমিল এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ডাটার অসামঞ্জস্য থেকে তারা এ হিসাব করে। ফলে প্রকৃতপক্ষে তাদের হিসাবের চেয়ে বেশি অঙ্কের টাকা পাচার হয়ে থাকে। আর পাচারের অধিকাংশই যাচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, হুন্ডি প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের সচেতনতা বৃদ্ধিই নয়। জনসাধারণের সচেতনতাও বাড়াতে হবে। এ ছাড়া হুন্ডির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

সেকেন্ড হোমের নামে পাচার : দুই হাজার ৩৭০ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ সুবিধা নিয়েছেন। এ সুবিধা পেতে মালয়েশিয়ার ব্যাংকে মোটা অঙ্কের অর্থ জমা রাখতে হয়েছে। এর পরও বাংলাদেশের সুযোগ গ্রহণকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বয়স ৫০ বছরের নিচে এমন কোনো ব্যক্তির এ সুবিধা নিতে লাগছে পাঁচ লাখ রিঙ্গিত বা এক কোটি টাকার বেশি। বয়স ৫০ বছরের বেশি হলে সাড়ে তিন লাখ রিঙ্গিত বা ৮০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক মানিলন্ডারিং-সংক্রান্ত এক অনুসন্ধানে দেখেছে, এসব অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় নিয়ে গেছেন সুবিধা গ্রহণকারীরা। এর বাইরেও কোটি কোটি টাকা মালয়েশিয়ায় পাচার করে নিয়ে গেছেন তারা। এ কারণে গত কয়েক বছরে মালয়েশিয়ায় পাচার হয়ে গেছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, সেকেন্ড হোম সুবিধা গ্রহণের দিক দিয়ে ১০ বছর ধরে বাংলাদেশিরা রয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। বাংলাদেশের ঠিক আগে রয়েছে চীন।

বিদেশি নিয়োগের নামে পাচার : বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন প্রায় দুই লাখ বিদেশি। এর বাইরে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন খাতে এ দেশে বিদেশি অবস্থান করছেন প্রায় ১২ লাখ। বাংলাদেশে এসে ব্যবসার কথা বলে বিভিন্নভাবে টাকা পাচারের অভিনব ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন তারা। দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে দেশের টাকা পাচার হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশিদের বেতন, ফি বাবদ প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হুন্ডিতে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে গেলেও ওয়ার্ক পারমিট বা অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছেন মাত্র কয়েক হাজার ব্যক্তি। অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নেওয়া অর্থের বিষয়ে তথ্য থাকলেও এর বাইরে যেসব অর্থ যাচ্ছে এর কোনো হদিস নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, যে পরিমাণ অর্থ বিদেশি নাগরিকরা নিয়ে যান, বাংলাদেশে এর চেয়ে কম পরিমাণ অর্থ রেমিটেন্স হিসেবে আসে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক, যাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এর সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে ৮ হাজার। বিনিয়োগ বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংক এদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার করা হয় না। তারা এ দেশ থেকে হুন্ডিতে নিজ নিজ দেশে টাকা পাচার করছে।

স্বর্গরাজ্য বিমানবন্দর : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ বুথগুলোতে চলছে অবৈধ হুন্ডি ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের সিন্ডিকেট। ব্যাংকের বুথগুলোর অসৎ কর্মকর্তারা এ হুন্ডি ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এই বিমানবন্দর দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে শত শত কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২-এর প্রবেশ গেট এবং ভিআইপি গেটে মোট ১৬টি লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অন্যান্য ধাতব সামগ্রী পরীক্ষা করা সম্ভব হলেও কাগজের নোট শনাক্ত করা যায় না। আর এ সুযোগে পাচারকারীরা নির্বিঘ্নে মুদ্রা পাচার করলেও কর্তৃপক্ষ তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এসব স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে কাগজের মুদ্রা পাচার অনায়াসে সম্ভব বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও তা প্রতিরোধে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বিমানবন্দরে কর্মরত একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি জানান, বিদ্যমান পদ্ধতিতে মুদ্রা পাচার রোধ সম্ভব নয়। কেননা এসব স্ক্যানিং মেশিনে কাগজের মুদ্রা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন মুদ্রা ব্যবসায়ীরা। সূত্রগুলো বলেছে, পাচার হওয়া ৫ শতাংশ ধরা পড়ে বিমানবন্দরে বিভিন্ন কারণে। পাচারকৃত ওই মুদ্রার গন্তব্যস্থল হচ্ছে দুবাই, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীনসহ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সূত্র জানায়, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার আড়ালে শতাধিক ব্যক্তি রাজধানীতে হুন্ডি ব্যবসা করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ।

হুন্ডির টাকা বিশ্ব জুয়ায় : বিশ্বের নামিদামি সব জুয়ার আসরেও দেশ থেকে টাকা যাচ্ছে হুন্ডিতে। দেশের শীর্ষস্থানীয় জুয়াড়িরা যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, হংকং, ফিলিপাইন থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্যাসিনোতে দুই হাতে টাকা ওড়াচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যম ছাড়াও হুন্ডিতেও বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করে নিচ্ছেন তারা বিদেশের ক্যাসিনোতে। সূত্র জানায়, লন্ডনের গ্রসভেনর ভিক্টোরিয়া ক্যাসিনো, পাম বিচ ক্যাসিনো, ক্রকফোর্ডস, গোল্ডেন নাগেট, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো হংকংয়ের ভেনটিয়ান ম্যাকাওসহ উইন ম্যাকাও, গ্রান্ড লিসবোয়া ও স্যান্ডস ম্যাকাওয়ে জুয়াড়িদের উপস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও হতবাক।

 এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দামি ক্যাসিনো লাস ভেগাসের নাভেদা, নিউজার্সির আটলান্টিক সিটি, শিকাগোর ইলিনইস, মিশিগানের ডেটরয়েটেও বাংলাদেশি জুয়াড়িরা পাল্লা দিয়ে বড় বড় দানে জুয়া খেলেন। সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলারেও খেলে থাকেন তারা। জুয়াড়িরা জুয়ার এসব টাকা নিচ্ছেন হুন্ডিতে।

সুইস ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বেড়েছে : মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশিদের মোট ৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকারও বেশি (৫৫ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ) অর্থ দেশটির ব্যাংকগুলোতে গচ্ছিত রয়েছে। এর আগের বছর এ অর্থের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৮ কোটি। অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় গত বছর বাংলাদেশি গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৩৬০ কোটি টাকার কিছু বেশি। সূত্রমতে, এমন অঙ্কের টাকা বৈধ পথে পাঠানো সম্ভব নয়। অবৈধ পথেই পাঠানো হয়েছে এসব টাকা।

সর্বশেষ খবর