বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুলিশ জড়িত কিনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

সাওতাল পল্লীতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ জড়িত কিনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশের অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আইন ও সালিস কেন্দ্রের এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৬ নভেম্বর স্থানীয় সাঁওতাল টমাস হেমব্রমের থানায় করা আবেদনকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপারের নিচে নয় এমন কোনো কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতে আসকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু ওবায়েদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীর চিনিকল কর্তৃপক্ষের জমি দখলে নিতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গোলাগুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। সাঁওতাল পল্লীতে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আইন ও সালিস কেন্দ্র এবং সাঁওতালরা হাইকোর্টে তিনটি পৃথক রিট আবেদন করে।

কাঁটাতারের বেড়া ভাঙচুর, মামলা দায়ের : সাঁওতালদের উচ্ছেদের পর সেখানে মিল কর্তৃপক্ষ যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে সোমবার রাতে সে বেড়ার ২৬টি পিলার ভেঙে ফেলা হয়েছে। পিলারগুলো কে বা কারা ভেঙে মাটিতে ফেলে দেয়। রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে খামারের উপ-ব্যবস্থাপক হুমায়ন কবির মঙ্গলবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন। থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর