সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রয়োজন শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন

বাদল নূর

প্রয়োজন শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন

পঙ্কজ ভট্টাচার্য

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে হলে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন প্রয়োজন।

গতকাল শাহবাগে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এ কথা বলেন। পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, সামনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে গণপ্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটলে জাতিকে মাশুল দিতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। দেশের এই প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, বিরোধী দলে থাকলে নেতারা মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার হন। আর ক্ষমতায় গেলে মানবাধিকার হরণে তারা তত্পর হন। বিরোধী দলে থাকলে তারা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ  চান। আর ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতার কেন্দ্রে যেতে চান। এ নীতি পরিহার করা উচিত। তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ছাড়তে পারবে না এবং আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবে না। দুই দলের এই অবস্থান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অন্তরায়। এই সহাবস্থান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল আমি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পরিচালনা করতে গিয়েছিলাম পাকিস্তানের আমলাদের দিয়ে।’ আজ প্রয়োজন সরকার ও প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান। তিনি বলেন, বর্তমানে ঘুষ ছাড়া কর্মসংস্থান হয় না। ঘুষ-দুর্নীতি নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করলেও ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখন বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজারের নামে বড় মাছ ছোট মাছ ধরে খাচ্ছে। পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, ৪৫ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে ওঠেনি। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন অনেকাংশে বেহাল হতে চলেছে। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের চক্রান্ত চলেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি মডেলে পরিণত করতে চায়। সে কারণে তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। বিদেশিদের হত্যা করছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে শিশু হত্যা ও নির্যাতন মহামারী আকার ধারণ করেছে। সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত ও উচ্ছেদ হচ্ছে। গাইবান্ধায় সাঁওতাল আদিবাসীদের ভূমি উচ্ছেদে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের একাংশের উপস্থিতি প্রতীয়মান হয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে এ বিষয়গুলো পরিহার করতে হবে।

সর্বশেষ খবর