মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের বাসায় সিআইডি

রিজার্ভ চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানের বাসায় সিআইডি

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। গতকাল সোমবার সকালে সিআইডির চার সদস্যের তদন্তকারী দল ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৬/এ নম্বর রোডে অবস্থিত সাবেক গভর্নরের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন।

সিআইডি সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির বিষয়টি জানার জন্যই সাবেক গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এর আগে রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি ধরা পড়লে সিআইডির একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেন। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি শাহ আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এডিশনাল এসপি রায়হান উদ্দিনের সমন্বয়ে তিন সদস্যের দলটি বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের বাড়িতে যান। ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরির সময় ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন। মামলার তদন্তের জন্যই বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

অপরদিকে সিআইডির একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২৩ বিদেশিকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ জন কর্মকর্তাও রয়েছেন।  তবে রিজার্ভ চুরির মূল পরিকল্পনাকারীকে এখনো শনাক্ত বা চিহ্নিত করা যায়নি। রিজার্ভ চুরির আগে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২৩ বিদেশি নাগরিকের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সার্ভার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর হ্যাকারদের মাধ্যমে ওই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঘটনাটি জানতে চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরের কাছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন আতিউর রহমান। পরে পদত্যাগ করেন তিনি। রিজার্ভের চুরি হওয়া ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায়। আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে ১  কোটি ৫২ লাখ ডলারও ফেরত পাওয়া গেছে। বাকি অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সর্বশেষ খবর