বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রপতির কাছে জাতীয় পার্টির যত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তবে সার্চ কমিটি গঠনের কোনো প্রস্তাব দেননি তিনি। গতকাল বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।

জাতীয় পার্টির প্রস্তাবগুলো হলো : সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগসংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন; আইনে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখার বিধান; নির্বাচন কমিশনের আলাদা সচিবালয়; বর্তমান সংসদেই এ আইন পাস করা এবং নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নে নয়টি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া। কমিশনারদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়নে নয়টি বিষয় হলো : নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত একাগ্রতা ও সততা, ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় না থাকা, অন্য অফিসে নিয়োগে বিধিনিষেধ এবং চারিত্রিক স্বচ্ছতা। সংলাপে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এম এ সাত্তার, সালমা ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, তাজ রহমান, এস এম ফয়সাল চিশতী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, খালেদা আক্তার ও বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। বৈঠক শেষে কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ বলেন, ‘সংলাপে রাষ্ট্রপতির যে আন্তরিকতা দেখেছি তাতে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’ জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজন বোধ করলে রাষ্ট্রপতি আমাদের আবার ডাকবেন।’ রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন নিয়ে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে কথা বলবে জাতীয় পার্টি।’

সর্বশেষ খবর