বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা!

ট্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজের চার দিন পর রাজধানীর ভাটারায় রিজার্ভ ট্যাংক থেকে কফিল চন্দ্র বাড়ৈ (২০) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। ভাটারা কালি মন্দিরের পূর্বপাশের একটি বাসায় মেস করে থাকতেন তিনি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির আইটি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনার পরদিন ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল বলে জানান তার বড় ভাই প্রণব চন্দ্র বাড়ৈ। সোমবার রাত ১২টার দিকে ভাটারার জে ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর প্লটের একটি ভবনের রিজার্ভ ট্যাংক থেকে কফিলের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, লাশ উদ্ধারের সময় ওই যুবকের পরিচয় জানা ছিল না। খবর পেয়ে কফিলের পরিবার মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। কফিলের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্য ছিল দুর্বৃত্তদের। সে জন্য লাশের কোমরে তার পেঁচিয়ে বালুর বস্তা বেঁধে রিজার্ভ ট্যাংকের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কোন জায়গা থেকে কীভাবে কফিল নিখোঁজ হয়েছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রণব চন্দ্র বাড়ৈ জানান, মেসে সে ও তার ভাইসহ আরও দুজন থাকতেন। গত ১৬ ডিসেম্বর তার স্ত্রী ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসেন। ডাক্তার দেখানোর পর ওই দিনই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়ি চলে যান। সঙ্গে মেসের অন্য দুই সদস্যও তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। গ্রামের বাড়ি পৌঁছে ছোট ভাই কফিলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করার পরও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিনই সেই বন্ধ নম্বর থেকে তাদের বাবা ভরত চন্দ্র বাড়ৈর মোবাইলে প্রথমে ৪০ হাজার টাকা এবং পরে ৩৫ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে দাবি করে এসএমএস পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ খান জানান, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর