শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ডাকা হলো মিতুর বাবাকে, চার্জশিট শিগগির

মিতু হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ডাকা হলো মিতুর বাবাকে, চার্জশিট শিগগির

সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য নিতে এবার ডাকা হলো তার বাবাকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার সময় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বলেছেন, হত্যাকারী যে-ই হোক তাকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর মামলার বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শিগগিরই মিতু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করতে যাচ্ছে পুলিশ। দেশব্যাপী তোলপাড় করা এ মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। চার্জশিট দেওয়ার আগে মামলার বাদী ও ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের অংশ হিসেবেই কাল ডাকা হয়েছিল মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে। আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি, এ ঘটনার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক, তাকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়। যদি বাবুলও এ ঘটনায় জড়িত থাকে, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় যেন আনা হয়। এ ছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অনুরোধ করেছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলার চার্জশিট দেওয়ার আগে তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ও ভিকটিমের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলে থাকেন। এ মামলার গতি দেখে পুলিশ চার্জশিট দেবে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমি পুরো তদন্ত শেষ করেই চার্জশিট দেওয়ার অনুরোধ করেছি তদন্ত কর্মকর্তাকে। বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেফতার হলেও কী কারণে মিতু খুন হয়েছে এবং কার নির্দেশে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে তা বের করতে পারেনি পুলিশ। তাই ঘটনার মোটিভ বের করার অনুরোধ করেছি। এ ক্ষেত্রে চার্জশিট দিতে দুই বছর লাগলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমরা আর অন্ধকারে নেই। এ মামলার অনেক কিছুই আমাদের কাছে পরিষ্কার। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মিতুর বাবার সঙ্গে কথা বলতে ডাকা হয়েছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনো মামলার চার্জশিট দেওয়ার আগে সাধারণত মামলার বাদী ও ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে থাকেন তদন্ত কর্মকর্তা। মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়ম মেনে বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার এবং মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে শিগগির এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া ৫ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এ মামলার আসামি রাশেদ ও নবী। কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মুছা ও কালু এখনো পুলিশি খাতায় ‘পলাতক’। ২৮ জুলাই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা অস্ত্র মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২২ নভেম্বর এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত।

সর্বশেষ খবর