বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আর কোনো দাবি নয়, বর্তমান সরকারের অধীনে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়—এটি প্রতীয়মান হয়েছে। সে কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। নবগঠিত নির্বাচন কমিশন সে নির্বাচন পরিচালনা করবে। সেই নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না করে যে ভুল করেছে, তার থেকে শিক্ষা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে অংশ নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর কোনো দাবি পেশ না করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনের সময়ও বিএনপি ভালো বলেছে। হেরে যাওয়ার পর তারা এদিক-সেদিক কিছু কথা বলেছে, এটা ঠিক হয়নি। নারায়ণগঞ্জে চমৎকার একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জীবনী পাঠ করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মুরসালীন নোমানী। বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের পর রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন। সার্চ কমিটি থেকে কতগুলো নাম আসবে। তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের যে কোনো দিন। এখানে আর আলাপ-আলোচনা করে লাভ নেই। আশুলিয়ার শ্রমিক অসন্তোষকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের প্রতি বছর ১০০ টাকা এবং মাসে মাসে ১০ টাকা করে দিতে হয়। এই টাকা কে পায়? ওই শ্রমিক নেতারা। কোনো শ্রমিক নেতার ব্যাংকে অনেক টাকা আছে বলে জানা গেছে। হয়তো এ মুহূর্তে টাকা পাওয়া যাবে না। কিন্তু ব্যাংকের লেনদেনে দেখবেন কত কোটি টাকা বা ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বাসায় বৈঠকে শ্রমিক নেতারা বললেন কাল থেকে কারখানা চলবে। তারা সেখানে বলেছেন কিছু অদৃশ্যশক্তি পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন। আমরা বললাম, সেই অদৃশ্যশক্তি কারা? তারা নাম বললেন না। পুলিশের আইজি ছিলেন, র?্যাবের প্রধান ছিলেন তাদের বললাম অদৃশ্যশক্তিকে খুঁজে বের করেন।’ কারখানাগুলো কবে খোলা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করে এটা সিদ্ধান্ত হবে। একটা সমঝোতা করতে হবে। তবে এবার বিজিএমইএ তাদের কিছু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে না। এভাবে আকস্মিকভাবে যদি দাবি আদায়ে রাস্তায় নামা হয়, তাহলে রাস্তায় বারবার নামতেই থাকবে। একটা পদ্ধতির মধ্যে আসতে হবে।
