সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দল-ইসির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন

বাদল নূর

দল-ইসির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন

শরীফ নুরুল আম্বিয়া

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিমধ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপতির এ চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটি, আমার প্রত্যাশা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলের শরিক নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে  স্বাগত জানাই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সংবিধানের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেওয়া। কারণ সংবিধান মেনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে বিএনপিকে প্রকাশ্যে জামায়াত ছাড়তে হবে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনী আলোচনা করতে চাইলে সেটি হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো রাজনৈতিক দলের আলোচনা হবে না। তিনি বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল করা না গেলে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গিদের সঙ্গে যেসব সংগঠন ও ব্যক্তি জড়িত তাদের এ পথ থেকে সরে আসা উচিত। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ আছে, থাকবে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ নির্মূল ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ। এসব বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে রাজপথের আন্দোলনেও আমরা থাকব। তিনি বলেন, যারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের প্রতিহত করতে হবে। বর্তমান সরকারকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের নামে ফন্দি-ফিকির করলে কোনো লাভ হবে না। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী বসে থাকবে না। বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে বা নাশকতা সৃষ্টি করলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে। তা ছাড়া এই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলন করে সুফল বয়ে আনতে পারবে না। তারা বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে। এই ভুলের কারণে বর্তমানে তারা বিরোধী দলেও নেই। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ ভালো চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। কিছু কিছু সমস্যা আছে, সরকার তা সমাধানের চেষ্টা করছে। দেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। আমরা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য মারামারি চাই না। দেশের মানুষ শান্তিতে বাস করতে চায়।

সর্বশেষ খবর