মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাজে ফিল্ডিং আর বাউন্সারের কাছে হারল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লড়াই করেছিল শেষ পর্যন্ত। ২০১০ সালে ক্রাইস্টচার্চের ল্যাঙ্কাস্টার পার্কেও লড়াই করে হেরেছিল টাইগাররা। হ্যাগলি ওভালে নামার আগে নিউজিল্যান্ডে যে সাত ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা, তার সবগুলোর ফলই নেতিবাচক, হার। সেই ধারাবাহিকতা কালও বজায় থাকল। হারল এবং ৭৭ রানে। অবশ্য মাশরাফিবাহিনী এবার যখন নিউজিল্যান্ডে পা রাখে, তখন অতীতকে পেছনে ফেলেই পা রাখেন। সঙ্গে নিয়ে যান গত ২৩ মাসের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাস। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস সঙ্গী বলেই নিউজিল্যান্ডে লাল-সবুজ পতাকা উড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন মাশরাফিরা। যদিও জানতেন সেখানকার অপরিচিত কন্ডিশন বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ আগেই দেশ ছাড়েন ক্রিকেটাররা। কিন্তু গতকাল ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে অতীত পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাস কোনো কাজেই লাগেনি। বরং বাজে ফিল্ডিং ও বাউন্সারের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্বে হেরে যায়, পিছিয়ে পড়ে সিরিজে। অবশ্য তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ এখনো বাকি। ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর ওয়ানডে দুটি মাঠে গড়াবে ‘দক্ষিণের দুয়ার’ খ্যাত নেলসনে। উইকেটের বাউন্স ও সকালের ময়েশ্চারকে কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ষষ্ঠ ওভারে প্রথম আঘাত হানে টাইগাররা। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি মুস্তাফিজরা। টম ল্যাথামের ১৩৭ ও কলিন মুনরোর আক্রমণাত্মক ৮৭ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ইনিংস। ১৯৯০ সালে ৯ উইকেটে ৩৩৮ রান ছিল এতদিন সর্বোচ্চ। ৩৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চেষ্টা করেছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা। কিন্তু তাদের চেষ্টা কোনো কাজে আসেনি ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমানদের ব্যর্থতায়। সাকিব প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ সামলে খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। ৫৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। তামিম সাজঘরে ফিরেন বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখিয়ে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। দুর্ভাগ্য মুশফিকের। চমৎকার ব্যাটিং করতে থাকা মুশফিক দলীয় ৩৮.৩ ওভারে মাঠ ছেড়ে চলে আসেন হ্যামস্ট্রিংয়ের টানে। টেস্ট অধিনায়ক যখন মাঠ ছাড়েন, তখন তার নামের পাশে লেখা অপরাজিত ৪২ রান। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফসেঞ্চুরি করেন মোসাদ্দেক সৈকত। অথচ তার মাঠে নামার কথা ছিল না। অভিষেক হওয়ার কথা ছিল স্পিনিং অলরাউন্ডার তানভীর হায়দারের। মোসাদ্দেক ষষ্ঠ ম্যাচে তুলে নেন প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলতে বল খরচ করেন ৪৪টি। যাতে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। মুশফিক মাঠের বাইরে চলে আসায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় মুস্তাফিজুর রহমানের আউটে। তখনো ওভার বাকি ছিল ৫.১ বা ৩১ বল।

সর্বশেষ খবর