অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী জানুয়ারিতেই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল সাধারণ বীমা করপোরেশনের লভ্যাংশের ৩০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বীমা কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান এ চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। প্রতিষ্ঠানটি গত ২০১৫ সালে ২৮৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। সেই মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকার ডিভিডেন্ট সরকারি কোষাগারে প্রদান করল। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে বর্তমানে তেলের দাম উঠানামা করছে। তাই দেশে তেলের দাম খুব বেশি কমবে না। তবে কিছুটা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৮৯ টাকা, পেট্রোল ৮৬ এবং ডিজেল ও কেরোসিন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তেলের দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী । এদিকে গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর খুব ভালো কেটেছে। লোকজন ভালোমতো ব্যবসা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর অর্থনীতির জন্য খুব ভালো কাটবে বলে আশা করা যায়। এর ফল ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেছেন অর্জন হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।