শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরাতে সরকারের অপারগতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তর করে পুরনো হাইকোর্ট ভবনটি সুপ্রিমকোর্টের কাছে হস্তান্তর করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরকার। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ অপারগতার কথা জানানো হয়েছে। এ ভবন থেকে ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরানো হলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে, সর্বজনগ্রাহ্য হবে না, বরং বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কাজী মুশফিক মাহবুব রবিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পুরনো হাইকোর্ট ভবনটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। ভবনটি পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশের গভর্নরের সরকারি বাসভবন হিসেবে নির্মিত হয়। পরে ভবনটিকে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে রূপান্তর করে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচারের জন্য অন্য কোথাও যৌক্তিক ও নিরাপদ স্থান না পাওয়ায় সরকার পুরনো হাইকোর্ট ভবনে ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে। ট্রাইব্যুনালে অনেক কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়। এর ফলে ভবনটির ঐতিহ্য ও গুরুত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণ চায় ঐতিহাসিক এ ভবনের মর্যাদা সমুন্নত রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত থাকুক। চিঠিতে বলা হয়, এসব বিষয় বিবেচনাপূর্বক পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তর করে সুপ্রিমকোর্টের অনুকূলে হস্তান্তর করা সমীচীন হবে না।

উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। পরে ট্রাইব্যুনাল সরাতে তাগিদ দিয়ে ওই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর