শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

থার্টিফার্স্টে রাত ৮টার মধ্যে ঘরে ফিরুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

থার্টিফার্স্টে রাত ৮টার মধ্যে ঘরে ফিরুন

থার্টিফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ঢাকায় থার্টিফার্স্টে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। এর পরও নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে থার্টিফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। অনুমতি সাপেক্ষে ক্লাব, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠান করা যাবে। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, থার্টিফার্স্টে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, মদের বার, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ ও লাইন্সেসকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। থার্টিফার্স্ট ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে আরও বেশি তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডিএমপি-প্রধান বলেন, জননিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা-বলয় তৈরি করা হবে। ওই দিন নগরবাসীর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে পুলিশের ১০ হাজার সদস্য। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটে চেকপোস্ট ও ব্লক রেড চলমান রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শুধু আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। ক্যাম্পাসে বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার-সংবলিত গাড়ি নিয়ে নীলক্ষেত ও শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। কূটনৈতিক এলাকার বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এসব এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ও আমতলী ক্রসিং খোলা রাখা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও পরিচয় দিয়ে এই দুটি ক্রসিং দিয়ে গুলশান, বনানী ও বারিধারার বাসিন্দারা প্রবেশ করতে পারবেন। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যারা বসবাস করেন না তাদের ওই সব এলাকায় যেতে নিরুৎসাহিত করছি।’

তিনি বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে বাসায় থার্টিফার্স্ট নাইট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং পুলিশকে জানান তাহলে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কোথাও আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। গুলশান থেকে হাতিরঝিল হয়ে বেরিয়ে যাওয়া যাবে। তবে প্রবেশ বন্ধ থাকবে। রাত ৮টার পর হাতিরঝিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। থার্টিফার্স্টে সন্ধ্যার পরপরই নগরবাসীকে ঘরে ফিরতে হবে। থানা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবেন ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর