শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিবিসি প্রতিবেদন

রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা জমি

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা জমি—এমন মন্তব্যই করেছেন বিশ্বব্যাংকের কয়েকজন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তারা বলেছেন, বছর কয়েক আগে স্যামসাং বহুজাতিকের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে না পারায় বাংলাদেশ ওই অঞ্চলে ‘দ্বিতীয় ভিয়েতনাম’ হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।

দক্ষিণ এশিয়াকে কীভাবে বিশ্বে রপ্তানির একটি পাওয়ার হাউসে পরিণত করা যায় এ নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।  ‘এবারে দক্ষিণ এশিয়ার পালা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে অনেকটা অংশ ব্যয় করা হয়েছে বাংলাদেশের জন্য, যেখানে বিশ্বব্যাংক মনে করছে, রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। প্রতিবেদনের প্রণেতার একজন ও বিশ্বব্যাংকের অন্যতম প্রধান অর্থনীতিবিদ ভিনসেন্ট পালমাডে বিবিসিকে বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা জমি। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ যদি তাদের রপ্তানি সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চায় তাহলে যে কোনোভাবেই হোক তাদের বড় শিল্প সংস্থাগুলোর জন্য জমির সংস্থান করতে হবে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পে সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়, সেগুলো অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত না করা হলে রপ্তানির পরিমাণ যে বাড়বে না, সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। তার কথায়, ‘বড় লগ্নিকারীদের জন্য শিল্পের উপযুক্ত জমি পাওয়াটাই এখানে মুশকিল। হাতের কাছে বিরাট উদাহরণ হলো স্যামসাং, যারা বছর কয়েক আগে ১২০ কোটি ডলারের বিশাল বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল, অন্তত ৫০ হাজার লোকের চাকরি হতো তাতে। তাদের দরকার ছিল ৩০০ একর জমি। কিন্তু সব এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন ভর্তি থাকায় বাংলাদেশ তাদের সেই জমি দিতে পারেনি। যদি দিতে পারত, আমরা বিশ্বাস করি ইলেকট্রনিক শিল্পে আজ ভিয়েতনাম যেখানে, বাংলাদেশও সেখানে পৌঁছতে পারত।’

‘এবারে দক্ষিণ এশিয়ার পালা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, জমির ব্যবস্থা করতে না পারলে সেই সম্ভাবনার অনেকটাই মাঠে মারা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর